দেশে-বিদেশে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে: কাদের
দেশে-বিদেশে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের রাজনীতিতে হত্যা, সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র আর সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার তাদের হাত ধরেই। এখনো তারা সেই অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। খুনিরা তাদের ষড়যন্ত্রের জাল এখনো ছড়িয়ে রেখেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর যৌবনের উত্তাপ দিয়ে গড়া স্বাধীন রাজধানীর মাটিতে তার সমাধির জন্য দু’গজ জমিও জুটল না। স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার এতই বদনসিব যে, তার মরদেহ সমাধি করা হলো রাজধানী থেকে অনেক দূরের অজগাঁ টুঙ্গিপাড়ায়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের মাটি কি হজম করতে পারে বঙ্গবন্ধু মুজিবের রক্ত? বাংলাদেশের মানচিত্রে সমান যার অস্তিত্ব, চরিত্র হননের কোনো ছোরা দিয়ে তাকে কি নিধন করা হয়ে গেছে? অবমূল্যায়নের কোনো নরুন দিয়ে ছেদন কি করা গেছে স্বাধীনতার এই বটবৃক্ষকে? না, শত ষড়যন্ত্র আর হাজার চেষ্টার পরও মুজিব মরেনি। বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে।
তিনি বলেন, যতদিনে বাংলায় চন্দ্র-সূর্য উদয় হবে, যতদিন এ জনপদে পাখির কলরব থাকবে, নদীর কলতান থাকবে, সাগরের গর্জন থাকবে, বিশ্ব মানচিত্রে বাংলা নামের দেশ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু মুজিব আপনিও বেঁচে থাকবেন।
মন্ত্রী বলেন, ইতিহাসের নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৮১ সালে মুজিববিহীন বাংলায় ফিরে আসেন মুজিবকন্যা। প্রতিকূল আবহাওয়ায় তাকে বরণ করি হৃদয়ের সবটুকু আবেগ, কষ্ট আর ভালোবাসায়। শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন আমাদের আস্থার ঠিকানা, আশার নিউক্লিয়াস, উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার পুরোধা। তাকে ঘিরেই আজকের বাংলাদেশ। আজকের সমৃদ্ধিও এগিয়ে চলা।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা আছেন বলেই ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, জাতির কলঙ্ক মোচন হয়েছে। আত্মস্বীকৃত খুনিরা শত আশ্রয়-প্রশ্রয়েও প্রটেকশন পায়নি জনতার কাছে। আদালতের রায়ে ফাঁসিতে ঝুলে আছে খুনিরা। যারা লুকিয়ে আছেন তাদেরও ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে। ইতোমধ্যে জোরদার করা হয়েছে কূটনৈতিক তৎপরতা।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিককালে করোনা সংকট মোকাবিলায় তার (শেখ হাসিনা) দূরদর্শী এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার দক্ষতা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। শেখ হাসিনা যেমনি অনিয়ম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন, তেমনি যেকোনো হত্যাকাণ্ডের বিচারে তিনি অপরাধীর দলীয় পরিচয় খোঁজেননি। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখেছেন।