মৃত্যুও আলাদা করতে পারেনি বাবা-মেয়েকে
পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ মেলে প্রশস্ত বৃক্ষের মতো ছায়াদানকারী বাবার বুকে। শত আবদার আর নির্মল শান্তির এ গন্তব্যটি কারোরই অজানা নয়। আজ আমি আপনাদের তেমনি এক বাবা-সন্তানের গল্প বলবো। স্নেহ-ভালোবাসায় সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে বাবা যাচ্ছিলেন আত্মীয়ের বাসায়। কে জানতো এই পথেই তাদের শেষ যাত্রা।
রেশমা নিহত: ১০ দিনেও সেই মাইক্রোবাসের হদিস মেলেনি দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায়। ফুলপুর উপজেলার ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের বাঁশাটি এলাকায়। সেখানে একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পুকুরে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের আটজন মারা যায়। আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনার পর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একজন বাবা তার মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে আছেন। তবে তাদের ততক্ষণে প্রাণ চলে গেছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ওই অবস্থায়ই তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সাকিব হাসান সুইম নামে একজন ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘বাবা তার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত সন্তানকে বাঁচানোর চেষ্টা করে গেছেন। মৃত্যুর পরও সন্তানকে বুক থেকে আলাদা করেননি। অথচ সন্তান মা-বাবাকে দূরে ঠেলে দেয়। ময়মনসিংহের ফুলপুরে মাইক্রোবাস উল্টে খাদে পড়ে একই পরিবারের আট জনের মৃত্যু। আল্লাহ সবাইকে জান্নাত দান করুন। আমিন।’
ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী জানান, ময়মনসিংহ থেকে শেরপুরগামী মাইক্রোবাসটি ফুলপুরে পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। পরে মাইক্রোবাসটি পুকুরে পড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আট জনের মরদেহ উদ্ধার করেন।
নিহতদের মধ্যে এক শিশু, ৫ নারী ও ২ পুরুষ রয়েছেন। এছাড়া জীবিত উদ্ধার করা হয় দু’জনকে। মাইক্রোবাসে মোট ১৪ জন যাত্রী ছিলেন।