বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে হাইকোর্টে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম
করোনা পরিস্থিতির কারণে চার মাস বন্ধ থাকার পর আগামী বুধবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে শারীরিক উপস্থিতিতে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
সোমবার এ লক্ষ্যে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৮টি বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তবে, নিয়মিত আদালতের পাশাপাশি হাইকোর্টে ৩৫ টি ভার্চুয়াল বেঞ্চে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমেও বিচারকাজ পরিচালিত হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশে গত মার্চের শেষ থেকে সরকারি ছুটি ঘোষণার পর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো উচ্চ ও অধস্তন আদালতের বিচার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। গত ৩০ মে সরকার ঘোষিত ছুটি আর বাড়ানো না হলেও আদালতের বিচার কার্যক্রম বন্ধই থাকে। তবে, গত ১১ মে থেকে উচ্চ ও অধস্তন আদালতে সীমিত পরিসরে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্যে অধস্তন আদালতে শুধু জামিন শুনানি ও আদেশ হয়। পর্যায়ক্রমে ফৌজদারি মামলায় আত্মসমর্পণ ছাড়াও অধস্তন আদালতে দেওয়ানি ও অন্যান্য মামলার আবেদন গ্রহণের আদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এরই মধ্যে জীবিকার তাগিদে নিয়মিত আদালত চালুর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আইনজীবীরা কর্মসূচি পালন করেন। প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে গত ৫ আগস্ট থেকে অধস্তন আদালতে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ৬ আগস্ট প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উচ্চ আদালতে শারীরিক উপস্থিতি ও ভার্চুয়াল এ দুই পদ্ধতিতে বিচারিক কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যে ১৮ টি বেঞ্চে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ হবে- বিচারপতি একে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ, বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান (একক বেঞ্চ), বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল (একক বেঞ্চ), বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী, বিচারপতি একেএম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীব, বিচারপতি বোরহান উদ্দীন ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিন, বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ার, বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খান, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেন, বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার, বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার (একক বেঞ্চ), বিচারপতি জাফর আহমেদ (একক বেঞ্চ) ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী (একক বেঞ্চ)।