মুজিববর্ষেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর যেসব খুনি বিদেশে পালিয়ে রয়েছে তাদেরকে এই মুজিববর্ষের ভিতরেই দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের হাতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, আমেরিকা, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে এরা নাম পরিচয় পাল্টে পালিয়ে রয়েছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ওইসব দেশের সাথে সরকার সব সময় যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর এক খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে।
মন্ত্রী আজ শুক্রবার দুপুর ২টায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, করোনার কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে যে সকল প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদেরকে পর্যায়ক্রমে সেই সব দেশে পাঠানো হবে। তারা যাতে দ্রুততম সময়ে যেতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে আলোচলা চলছে। এখনও বিভিন্ন দেশের সাথে আকাশ পথে যোগাযোগ শুরু হয়নি। আকাশ পথে যোগযোগ শুরু হলে প্রবাসীদের পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে আমরা আশা করছি।
প্রবাসীরা দুরাবস্থায় রয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকারের পক্ষে প্রবাসীদের ব্যাপক সাহায্য সহযোগিতা করা হয়েছে। তাদের যে কোন সমস্যা সরকার আন্তরিকতার সাথে সমাধান করছেন। প্রবাসীরা দেশে ও বিদেশে যে যেখানে আছেন, ভাল আছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের যে সব মিশন রয়েছে তারাও প্রবাসীদের সাথে যোগাযোগ রাখছে এবং তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করছেন।
এর আগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন এমপি।
পরে ফাতেহা পাঠ এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাল রাতে ঘাতকদের হাতে শহীদ হওয়া বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাশার খায়ের, সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন শেখ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান বিশ্বাসসহ সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।