ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ৬ আগস্ট, ২০২০ ২৩:০১

টিকটক বন্ধের বিষয়ে যা বললেন মন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
টিকটক বন্ধের বিষয়ে যা বললেন মন্ত্রী

ডাক ও টেলিযোগাযাগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, বাংলাদেশে টিকটক বন্ধ হবে না, তবে আপত্তিকর ভিডিও সরানো হবে। তিনি বলেন, প্রতিটা বিষয়ের ভালো ও খারাপ দিক আছে। সমস্যা হচ্ছে ভালো দিকগুলো আমরা নিচ্ছি না। মাথাটা কেটে না ফেলে মাথা ব্যথা কীভাবে ঠিক করা যায় সে প্রক্রিয়ায় যেতে চাই। নিয়ম মেনে চলে টিকটকে মজা করে হাসিখুশি থাকলে তো কোনো সমস্যা নেই। বুধবার রাতে টিকটক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। কথা হওয়ার পর তারা আশ্বাস দিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে আপলোড হওয়া আপত্তিকর ভিডিওগুলো তারা রিভিউ করে সরিয়ে ফেলবে। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) এসব কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযাগ মন্ত্রী।

টিকটক ‘বাজেভাবে’ ব্যবহার হচ্ছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, যেভাবে ভিডিওগুলো দেওয়া হচ্ছে দেখে লজ্জা লাগে, উঠতি বয়সীরা আপত্তিকর ভিডিও দিচ্ছে। মারধরের ঘটনায় ইয়াছিন আরাফাত অপু নামে একজন গ্রেফতার হওয়ার পর অনেকেই টিকটক বন্ধ করার জন্য বলেছে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, টিকটকের বাংলাদেশ প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হওয়ার পর সিঙ্গাপুরে অবস্থান করা হেলেনা নামে টিকটকের এক পরিচালকের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। ফোনে তাকে বুঝানো হয়েছে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এক রকম নয়। যে ভিডিও অন্যান্য দেশে স্বাভাবিক আমাদের দেশে তা অস্বাভাবিক। সে কথা শুনে আশ্বাস দিয়েছেন, বাংলাদেশের ভিডিওগুলো রিভিউ করে আপত্তিকর ভিডিও সরিয়ে ফেলবে।

তিনি আরও জানান, কয়েকটি ভিডিওর বিষয়ে আপত্তি জানানোর পর ইতিমধ্যে টিকটক সেগুলো সরিয়ে ফেলেছে।

গত বছর টিকটক ও অনলাইন গেইম প্লেয়ার আননোনস ব্যাটলগ্রাউন্ড (পিইউবিজি) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, সেবার বন্ধ করে দেওয়ার পর খুলে দেওয়া হয়েছিল কয়েক দিন পর। আমাদের যে প্রযুক্তি রয়েছে তাতে যে কোনো অ্যাপ বা ওয়েবসাইট কিছুক্ষণের মধ্যেই বন্ধ করে দিতে পারি। সে সময় টিকটক কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছিল, তারা আপত্তিকর ভিডিও মনিটর করবে। তবে সে কথা তারা রাখেনি।

বুধবার টেলিযোগাযোগমন্ত্রী তার ফেসবুক টাইমলাইনে লেখেন, ‘টিকটক নিয়ে প্রচুর অভিযোগ পাচ্ছি। অনুগ্রহ করে বাজে ভিডিওগুলোর লিংক ইনবক্সে দিন। যারা পর্নো লিঙ্ক পাঠিয়েছিলেন সেগুলো বন্ধ হয়েছে। যদি কোনোটা না হয়ে থাকে তবে ইনবক্সে দিন।’

টিকটক নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পর অনেকগুলো ভিডিও লিংক তার ইনবক্সে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “টিকটক কর্তৃপক্ষকে বুধবার ১০টির মতো আপত্তিকর ভিডিও দেওয়ার পর সরিয়ে ফেলেছে। শুধু টিকটক নয় ফেসবুক ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায়ও অগ্রগতি রয়েছে। এসব বিষয়ে স্বাভাবিকভাবে রিপোর্ট করা হয়। অনেক সময় শোনে আবার অনেক সময় শোনে না। তবে গত দুই বছরে তাদের রেসপন্স ভালো, রিপোর্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই তারা আমলে নিচ্ছে।

 

উপরে