ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ৩১ জুলাই, ২০২০ ০০:৩৩

যেন দেশে করোনাই নেই!

অনলাইন ডেস্ক
যেন দেশে করোনাই নেই!

পবিত্র ঈদুল আজহা শনিবার। পরিবারে সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্য রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। দক্ষিণাঞ্চলের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম লঞ্চযোগে বাড়ি যেতে সদরঘাটে মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

বেশিরভাগ লঞ্চেই যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা দেখা যায়নি। মাস্ক পরতে দেখা যায়নি অনেক যাত্রীকে। এছাড়া লঞ্চের ডেকে গাদাগাদি করে বসতে দেখা গেছে। যেন স্বাস্থ্যবিধির কোনো তোয়াক্কাই করা হচ্ছে না লঞ্চ যাত্রায়।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণরোধে সদরঘাট টার্মিনালের প্রবেশপথে ছয়টি জীবাণুনাশক টানেল থাকলেও সচল আছে একটি। তিন–চারটি লঞ্চে যাত্রীদের হাত স্যানিটাইজের ব্যবস্থা দেখা গেলেও বেশিরভাগ লঞ্চেই তা দেখা যায়নি। ভোলা, হুলারহাট, হাতিয়া, পটুয়াখালী, বেতাগী, দেওয়ানবাড়ি ও চরফ্যাশনগামী লঞ্চের ডেকে যাত্রীরা গাদাগাদি করে শুয়ে-বসে আছেন। অধিকাংশ যাত্রীর মুখে ছিলা না মাস্ক।

ডেকে গাদাগাদি করে বসে থাকতে দেখা যায় বেতুয়া-চরফ্যাশনগামী ফারহান-৫ লঞ্চে। গাদাগাদি করে কেন বসেছেন জানতে চাইলে রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে আসা মুদি দোকানি জাফর করিম (৫১) জাগো নিউজকে বলেন, লঞ্চ ছাড়বে ৬টায়। কিন্তু লঞ্চ ছাড়ার চার ঘণ্টা আগে এসেও ডেকে জায়গা পাইনি। বাড়ি তো যেতে হবে। বাধ্য হয়ে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে ডেকের একপাশে অবস্থান নিয়েছি।

ফারহান-৫ এর কর্মচারী জসিম মিয়া বলেন, যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসতে বললেও তারা শোনেন না। ঘেঁষাঘেঁষি করে বসতে বার বার বারণ করা হলেও কোনো কথাই তোয়াক্কা করেন না যাত্রীরা। তারা না শুনলে আমাদের কী করার।

ডেকে গাদাগাদি করে বসার দৃশ্য দেখা যায় ভোলাগামী গ্লোরী লঞ্চেও। গাদাগাদি করে বসে রয়েছেন বাড্ডা থেকে আসা সুমা বেগম (৩০)। তার কোলে তিন বছরের কন্যাশিশু। এভাবে কেন গাদাগাদি করে বসছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোলায় যাব পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে। লঞ্চ ছাড়বে সাড়ে ৫টায়। স্বামীসহ দুপুর ১টায় লঞ্চঘাটে এসেছি। কোথাও জায়গা না পেয়ে এখানে বসেছি।

লঞ্চের প্রবেশপথে যাত্রী ডাকাডাকি করছিলেন কর্মচারী সোহেল। লঞ্চ ভর্তি হওয়ার পরও কেন ডাকাডাকি করছেন জানতে চাইলে বলেন, করোনায় অনেক দিন লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল। কিছুদিন হলো লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে যাত্রীর চাহিদা বেশি; তাই ডাকাডাকি করছি। আমাদের কামাই তো দুই ঈদেই হয়। যাত্রী যত বেশি হবে টাকা তত বেশি পাব।

 

উপরে