স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে শাজাহান খানের মেয়ের অভিযোগ
সরকার পরিচালিত কেন্দ্রে করোনা পরীক্ষার ভুল রিপোর্টে ইমিগ্রেশনে হেনস্তা হওয়ায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খান অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শাজাহান খান ও ঐশী খান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের কাছে তাদের অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগপত্রে ঐশী খান লিখেছেন, ২৬ জুলাই ইংল্যান্ড যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে হাজির হয়ে লাগেজ বুকিং দিয়ে চেক করার মুহূর্তে জানানো হয়, অনলাইনে আমার করোনা টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ। চিঠিতে আরও বলা হয়, আমার করোনার কোনো লক্ষণ ছিল না। রিপোর্টও নেগেটিভ হওয়ায় আমি আমার পরিবারের সবার সঙ্গে স্বাভাবিক চলাফেরা করেছি। আমার বাবা সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাতবারের নির্বাচিত এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খানের সঙ্গে একই গাড়িতে বাসা থেকে বিমানবন্দরে যাতায়াত করেছি। যার ফলে আমার বাবাও করোনা ঝুঁকির মধ্যে থাকবেন বলে আমিসহ পরিবার দুশ্চিন্তায় আছি। এছাড়া আমার এই রিপোর্ট নিয়ে এরই মধ্যে আমার বাবা সম্পর্কে বিভিন্ন মিডিয়ায় নেতিবাচক ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার হওয়াও আমার বাবার সম্মানহানি হয়েছে, যা অমার্জনীয় অপরাধ।
তিনি লেখেন, ‘তাই এ ধরনের ভুল রিপোর্ট সম্পর্কে সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনায় মানুষকে অযথা হয়রানি হতে না হয় তার জন্য অনুরোধ করছি।’
এর আগে গত ২৫ জুলাই লন্ডন যাওয়ার উদ্দেশে হজরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে গেলে করোনা রিপোর্ট নিয়ে বাধার মুখে পড়েন সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের মেয়ে ঐশী খান। উপসর্গ থাকার পরও কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় বিমানবন্দর থেকে ফিরতে হয় তাকে। এরপর আবারও করোনা পরীক্ষা করা হলে ২৬ জুলাই করোনা পজেটিভ আসে ঐশীর। একদিনের ব্যবধানে টেস্টের দু'রকম ফলাফল আসায় সমালোচনা শুরু হয়। কিন্তু রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাবেক নৌ মন্ত্রী শাহজাহান খান।
এ বিষয়ে শাজাহান খান ফোনে বলেন, ‘আমি এই ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করে আসছি। এছাড়া ওই হাসপাতাল থেকে এ ব্যাপারে তাদের দেওয়া নেগেটিভ রিপোর্ট ভুল হয়েছে সেটা স্বীকার করেছে। তবে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ ছিল।’
এদিকে, ভুল রিপোর্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের পরিচালক। তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান ল্যাবরেটরির পরিচালক।