৫০-এ পা রাখলেন সজীব ওয়াজেদ জয়
শৈশব থেকে কৈশোর কেটেছে অস্বাভাবিক বাস্তবতায়। বড় সময় থেকেছেন প্রবাসে। তবুও দেশের ভাবনায় যিনি পিছপা হননি। নিঃশব্দে গড়ে তোলা ডিজিটাল বাংলাদেশের নায়ক হিসেবে, মানুষের মনে ঠাঁই করে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। ঘাত-প্রতিঘাত আর ষড়যন্ত্রের মুখে থেকেও, স্বচ্ছ ইমেজের জনপ্রিয়, তরুণ এই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আজ ৫০ বছরে পা রাখলেন।
দেশকে স্বাধীন করার যুদ্ধ চলছিলো তখন। সে বছরের মাঝামাঝি সময়ে, ৭১ এর ২৭ জুলাই বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনার কোলে জন্ম নেন ফুটফুটে জয়।
দেশ স্বাধীনের পর নানা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর নানীসহ স্বজনদের আদরে ভালোই কাটছিল সবকিছু। কিন্তু ৭৫ এ ঘাতকের নির্মম বুলেটে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার পরিবার। চারপাশের ঘোর আঁধারের অনিশ্চয়তায়, শৈশবেই তিনি দেখেছেন কী করে পাহাড়সম শোক গিলে খায় জীবনের রঙ্গিন বাস্তবতা।
এরপর, পেরিয়ে যায় কয়েক দশক। বিজ্ঞানের ছাত্র হয়ে প্রসিদ্ধ সব বিদ্যাপীঠে জ্ঞান অর্জন শেষে পরিণত হন কম্পিউটার প্রকৌশলী হিসেবে। সরাসরি রাজনীতিতে না এলেও ২০১৪ সালে মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈতনিক উপদেষ্টা হিসেবে নেতৃত্বে আসেন দেশের আইসিটি শিল্পের প্রসারে।
বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমের খোলামেলা আলোচনায়, জয় জানিয়েছিলেন তাঁর দুর্বিসহ শৈশবের কথা। অকপটে স্বীকার করেছিলেন ৮১'তে দেশে ফেরার পর শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর নাতি হওয়ায় সে সময় বঞ্চনার শিকার হয়েছিলেন স্কুল পর্যন্ত।
দেশের প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ ও বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনার সন্তান বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক সজীব ওয়াজেদ সংকীর্ণ ব্যক্তিস্বার্থ ত্যাগ করে কাজ করছেন দেশের জন্য। যিনি বিশ্বাস করেন, আদর্শিক যোগ্যতায় জ্ঞাননির্ভর সমাজ প্রতিষ্ঠাই হবে পরিবর্তনের চাবিকাঠি।
বিজ্ঞানের অবদানকে তিনি শুধু তাত্ত্বিক ভিত্তিতেই দেখেন নি। এর বাস্তব প্রয়োগে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অনন্য নজির। জয়ের কৌশল আর নেতৃত্বেই হাজারো তরুণ এখন ইন্টারনেট ব্যবহারে সাবলম্বী হয়েছেন। নাগরিক জীবনে পরিবর্তনের ছোঁয়া এখন সর্বব্যাপী। ২০০৮ সালে যেখানে দেশের আইসিটি রপ্তানি ছিলো মাত্র ২৩ মিলিয়ন, সেই অঙ্ক স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে তৈরী পোশাক খাতকেও এখন ছাড়িয়ে যাবার পথে। ডিজিটাল বিপ্লবের এই কাণ্ডারির হাত ধরে আরো সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে দেশ, আশা কোটি মানুষের।