সাহেদের হিসাবের নথি চেয়ে ৪ ব্যাংককে তলব দুদকের, ৬ থানায় চিঠি
রিজেন্ট গ্রুপভুক্ত আট প্রতিষ্ঠান ও সাহেদের নিজের নামে ব্যাংক হিসাবের নথি চেয়ে চার ব্যাংকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই নথি তলব ব্যাংকগুলো হলো- ব্র্যাক ব্যাংক, প্রিমিয়ার, শাহজালাল ইসলামী ও উত্তরা ব্যাংক।
একই সঙ্গে সাহেদের নামে রুজুকৃত মামলার নথি চেয়েও ৬ থানায় চিঠি দেয় সংস্থাটি।
রোববার দুদক উপপরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের প্রধান মো. আবু বকর সিদ্দিকের সই করা চিঠিগুলো ওইসব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুসন্ধান টিম প্রধান বরাবরে নথিপত্রগুলো পাঠাতে বলা হয়েছে।
সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট গ্রুপের এই আট প্রতিষ্ঠান হলো- জেন্ট হাসপাতাল লিমিটেড, রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেড, মুনলাইট রিসোর্ট, ফোর স্টার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, মুনলাইট বিল্ডার্স, রিজেন্ট ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনলজি, ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ, দি ডেইলী অন্য দিগন্ত, কর্মমুখী কর্মসংস্থান সোসাইটি।
এই ব্যাংকগুলোকে দেওয়া চিঠিতে সাহেদ ও তার প্রতিষ্ঠানের হিসাব খুলার আবেদনপত্র (সংযুক্তিসহ), কোম্পানির মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসেসিয়েশন অ্যান্ড আর্টিক্যালস অব অ্যাসোসিয়েশন, ট্রেড লাইসেন্স, হিসাব বিবরণী, ঋণ গ্রহণের আবেদন, মঞ্জুরিপত্র, বন্ধকী দলিল, বন্ধকী সম্পত্তির টাইটেল ডিড, মামলার আর্জি ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য রেকর্ডপত্র বা তথ্যাদির সত্যায়িত কপি চাওয়া হয়।
প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপকর্মের ঘটনায় এরই মধ্যে সাহেদের বিরুদ্ধে ৫৯টি মামলার সন্ধান পেয়েছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। যার মধ্যে একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামি সাহেদ।
এর আগে গত ১৪ ও ১৫ জুলাই ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ডাচ বাংলা ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংকে নথিপত্র চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। আরও সাত প্রতিষ্ঠানের নথি তলব করে দুদক। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযান চালিয়ে রিজেন্ট হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট নথিপত্র জব্দ করেছে।