বাংলাদেশে করোনার জাল সনদের রমরমা ব্যবসা - নিউইয়র্ক টাইমস
করোনাভাইরাসের ভুয়া রিপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশ এখন সরগরম। বিশেষ করে রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি। আরও স্পষ্ট করে বললে ডা. সাবরিনা ও মো. সাহেদ ওরফে শাহেদ করিম।
বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের নকল সনদের রমরমা ব্যবসা চলছে। প্রতিবেদনে তারা এই ঘটনার হোতা রিজেন্ট সাহেদের গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেছে।
তার গ্রেফতার কাহিনীর বর্ণনাও দেওয়া হয়েছে। কবে থেকে পালাতক ছিলেন, কতোদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে খুঁজছে, কিভাবে তিনি সীমান্ত পার হতে চেয়েছিলেন, বোরকা পরে ছদ্মবেশ ধারন করেছিলেন— এমন সব বিষয়ই তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সাহেদের হাসপাতালে যারা ৫৯ ডলার তথা সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা খরচ করে করোনা টেস্ট করিয়েছেন তাদের অধিকাংশেরই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। আবার যারা করোনার নেগেটিভ সনদপত্র দেখিয়ে বিদেশ যেতে চেয়েছেন তাদের কাছেও কোনো টেস্ট না করিয়েই জাল নেগেটিভ সনদ বিক্রি করেছেন।
আর প্রবাসীদের মধ্যে এই সনদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। আরো উল্লেখ করা হয় বাংলাদেশের মিলিয়ন মিলিয়ন লোক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছে সে বিষয়টি। এসব প্রবাসীদের অনেকেই এই জাল নেগেটিভ সনদপত্র দেখিয়ে বিদেশে গেছেন সেটারও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
এই ধরনের ভুয়া রিপোর্ট ও জাল করোনা নেগেটিভ সনদের ঘটনা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যে ক্ষুন্ন করবে সেটিও তারা উল্লেখ করেছে।