কোরবানির ঈদের জামাত: ১১ নির্দেশনা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে উন্মুক্ত স্থানে বড় পরিসরের পরিবর্তে স্বাস্থ্যবিধি কোরবানির ঈদের নামাজের জামাত মসজিদে আদায়ের আহ্বান জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিকালে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের বেশি কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো,
১) ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে।
২) নামাজের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। মুসল্লিদের নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।
৩) মুসল্লিরা নিজ-নিজ বাসা-বাড়ি থেকে অজু করে মসজিদে আসবেন।
৪) মসজিদের গেট ও অজুখানায় সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
৫) মুসল্লিদের মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদের জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৬) ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ‘সামাজিক দূরত্ব’ ও ‘স্বাস্থ্যবিধি’ অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে। দুই কাতার পর পর এক কাতার খালি রাখতে হবে।
৭) শিশু, বৃদ্ধ, যেকোন ধরনের অসুস্থ ব্যক্তি, রোগীর সেবা করছেন, এমন ব্যক্তি ঈদের জামাতে অংশ নেবেন না।
৮) জনসাধারণের সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
৯) জামাত শেষে কোলাকুলি বা হাত মেলানো যাবে না।
১০। খতিব, ইমাম, মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
১১) পশু কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মানতে হবে।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে রোধে উল্লিখিত শর্ত মেনে মুসল্লিদের মসজিদে ঈদের জামাত আদায় করতে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।