৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত
প্রতি বছর ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা এবং দিবসটি উদযাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জারিকৃত এই বিষয়ক পরিপত্রের ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে যোগ দেন এবং অন্যান্য মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে উপস্থিত ছিলেন। পরে বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রস্তাবটি এসেছে। হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত একটি রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে যে দুটি সিদ্ধান্ত ছিল তার একটি হলো, ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা এবং দ্বিতীয়টি, প্রত্যেক উপজেলাতে যেন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়।
তিনি বলেন, বর্ণিত রিটের রুলে প্রদত্ত নির্দেশনাসমূহ জন-আকাঙ্খার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বিধায় ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণার বিষয়ে মতামত চেয়ে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগে প্রেরিত পত্রের অনাপত্তি পাওয়া গিয়েছে।
সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এ দেশের স্বাধীনতার মূল প্রেরণা। বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে এর স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেস্কো ভাষণটিকে ইতোমধ্যেই ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্ত করেছে।
খন্দকার আনোয়ার এ বিষয়ে আরও বলেন, অর্থ বিভাগ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে জাতীয় পর্যায়ের দিবস পালনের তালিকায় ৭ মার্চকে ‘ক’ ক্যাটাগরিভূক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয়ভাবে উদযাপনের সম্মতি প্রদান করেছে।
এর ফলে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন/পালন-সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারিকৃত পরিপত্রের ‘ক’ ক্রমিকে একুশে ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস/আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পরে ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে অন্তর্ভূক্তির প্রস্তাব অনুমোদিত হলো।