ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১২ জুলাই, ২০২০ ১৫:৫৭
সূত্র :

ডা. সাবরিনার আসল পরিচয়

অনলাইন ডেস্ক
ডা. সাবরিনার আসল পরিচয়

করোনা পরীক্ষার টস্টে না করইে রপর্িোট ডলেভিারি দয়ো জকেজেি হলেথ কয়োররে প্রতারণা নয়িে দশেে তোলপাড় চলছ।ে এই প্রতারণার মূলহোতা জকেজেরি প্রধান নর্বিাহী আরফি চৌধুরী গ্রফেতার হয়ছেনে

নজিকেে রক্ষায় প্রভাবশালী বভিন্নি মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করনে সাবরনিা। চকিৎিসকদরে একটি প্রভাবশালী সংগঠনরে এক প্রভাবশালী নতোর বান্ধবী হওয়ায় অনকেইে মনে করছনে ডা. সাবরনিা দায় থকেে রহোই পয়েে যাবনে।

জানা যায়, ঢাকাসহ দশেরে বভিন্নি জায়গায় করোনার নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করইে প্রতষ্ঠিানটি ১৫ হাজার ৪৬০ টস্টেরে ভুয়া রপর্িোট সরবরাহ কর।ে

পুলশি জানয়িছে,ে জকেজেি হলেথকয়োর থকেে ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টস্টেরে রপর্িোট দয়ো হয়ছে।ে এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনরে করোনার নমুনার আইইডসিআিররে মাধ্যমে সঠকি পরীক্ষা করানো হয়ছেলি। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ রপর্িোট প্রতষ্ঠিানটরি ল্যাপটপে তরৈি করা হয়। জব্দ করা ল্যাপটপে এর প্রমাণ মলিছে।ে আরফি চৌধুরীকে জজ্ঞিাসাবাদে পুলশিকে জানান, জকেজেরি ৭-৮ র্কমী ভুয়া রপর্িোট তরৈি করনে।

জকেজেরি মাঠর্কমীরা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসংিদীসহ দশেরে বভিন্নি স্থান থকেে করোনা উপর্সগ দখো দয়ো মানুষরে নমুনা সংগ্রহ করতনে। প্রতি রপর্িোটে ৫-১০ হাজার টাকা নয়ো হতো। আর বদিশেদিরে কাছ থকেে ননে ১০০ ডলার। সইে হসিাবে করোনা পরীক্ষার ভুয়া রপর্িোটে প্রায় ৮ কোটি টাকা হাতয়িে নয়িছেে জকেজে।ি

২৪ জুন জকেজেরি গুলশান র্কাযালয়ে অভযিান চালয়িে প্রতারক আরফিসহ ছয়জনকে গ্রফেতার করে পুলশি। তাদরে দুদনিরে রমিান্ডে নয়ো হয়। দুজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দয়িছেনে। জকেজেরি র্কাযালয় থকেে ল্যাপটপসহ বশে কছিু গুরুত্বর্পূণ নথি জব্দ করে পুলশি। এ ঘটনায় তজেগাঁও থানায় চারটি মামলা হয়ছে।ে এসব মামলার কোনোটতিে এখন র্পযন্ত ডা. সাবরনিার নাম সংযুক্ত করা হয়ন।ি চারটি মামলার তদন্ত করছে তজেগাঁও থানা পুলশি।

করোনা মহামারীতে মানুষরে জীবন নয়িে নর্মিম প্রতারণায় নাম উঠে আসা ডা. সাবরনিা এ চৌধুরী সরকারি একটি হাসপাতালে চাকররি পাশাপাশি জকেজেরি চয়োরম্যান। তনিি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টটিউিট ও হাসপাতালরে চকিৎিসক। পাশাপাশি তনিি জকেজেি হলেথকয়োররে চয়োরম্যান। আর তার স্বামী আরফি চৌধুরী প্রতষ্ঠিানটরি প্রধান নর্বিাহী র্কমর্কতা।

খোঁজ নয়িে জানা গছে,ে এই দম্পতরি জীবনও রূপকথার গল্পরে মতো। আরফিরে চর্তুথ স্ত্রী সাবরনিা। আরফিরে এক স্ত্রী থাকনে রাশয়িায়, অন্যজন লন্ডন।ে আরকেজনরে সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তবে ছাড়াছাড়রি পরও সাবকে ওই স্ত্রী উচ্চমহলে আরফিরে জন্য দনেদরবার করে যাচ্ছনে।

তদন্তসংশ্লষ্টিরা বলছনে, মূলত সাবরনিার হাত ধরইে করোনার স্যাম্পল কালকেশনরে কাজটি ভাগয়িে নয়ে অনকেটা অখ্যাত জকেজেি নামে এই প্রতষ্ঠিান। প্রথমে ততিুমীর কলজেে মাঠে স্যাম্পল কালকেশন বুথ স্থাপনরে অনুমতি মলিলওে প্রভাব খাটয়িে ঢাকার অন্য এলাকা এবং অনকে জলো থকেওে নমুনা সংগ্রহ করছলিনে তারা।

স্বামী-স্ত্রী মলিে করোনা টস্টে করলওে তাদরে দাম্পত্য জীবন সুখরে নয়। স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তকির অবস্থায় দখেতে পয়েে সোহরাওর্য়াদী হাসপাতালরে এক চকিৎিসককে মারধর করনে আরফি চৌধুরী। পরে এ ঘটনায় স্বামীর বরিুদ্ধে শরেবোংলা নগর থানায় জডিি করনে ডা. সাবরনিা। এ ছাড়া জকেজেরি এক র্কমীকে অশালীন প্রস্তাব দয়োর ঘটনায় গুলশান থানায় আরফি চৌধুরীর বরিুদ্ধে মামলা রয়ছে।ে বএিমএর নতোর পরচিয় ভাঙয়িে চলাফরো করনে ডা. সাবরনিা।

জকেজেতিে চাকরি করতনে র্নাস তানজনিা পাটোয়ারী ও তার স্বামী হুমায়ূন কবরি। তানজনিার বতেন ছলি ৩০ হাজার টাকা। ভুয়া করোনা পরীক্ষা করে কোটি কোটি টাকা কামানো দখেে তানজনিা দাবি করনে তার বতেন বাড়য়িে দতিে হব।ে বষিয়টি জকেজেরি র্কণধার আরফি চৌধুরী জনেে তানজনিা ও তার স্বামীকে চাকরচ্যিুত করনে। পরে তারা দুজন বাসায় বসে নজিরোই করোনার ভুয়া টস্টেরে বাণজ্যি চালান।

তানজনিা নমুনা সংগ্রহ করতনে আর ঘরে বসে তার স্বামী রপর্িোট তরৈি করতনে। ২৩ জুন রাতে তানজনিা ও তার স্বামী গ্রপ্তোর হওয়ার পর বরেয়িে আসে জকেজেরি প্রতারণার রহস্য। এর পর জকেজেরি গুলশান অফসিে অভযিান চালয়িে গ্রপ্তোর করা হয় প্রতারক আরফি চৌধুরীসহ অন্যদরে।

ওই দনিই প্রতষ্ঠিানটরি কছিু র্কমী আরফিকে ছাড়য়িে নতিে তজেগাঁও থানায় জড়ো হন। তারা থানার বাইরে হট্টগোল করতে থাকনে। এ ঘটনায় পৃথক একটি মামলা হয়ছে।ে ওই মামলায় ১৮ জনকে গ্রফেতার করছেে পুলশি।

 জকেজেরি সঙ্গে নজিরে সম্পৃক্ততা নইে বলে প্রমাণ করতে ২৪ জুন ভোর সোয়া ৫টায় নজিরে ফসেবুক আইডতিে একটি স্ট্যাটাস দনে। এতে তনিি লখেনে– অনকে আশা নয়িইে জকেজেি হলেথকয়োর শুরু করছেলিাম বনিামূল্যে স্বাস্থ্যসবো দয়োর জন্য!!! কোনো জনিসি প্রতষ্ঠিা করাই বড্ড কঠনি! অনকে কষ্ট করছে!ি করোনা বর্পিযয় শুরু হওয়ার পর প্রথম এলাকাভত্তিকি স্যাম্পল কালকেশন শুরু হয়- কত মানুষরে কত রকম বাধা! কোনো দোকান খোলা নইে, জনিসিপত্র নইে, কউে ভয়ে করোনা নয়িে কাজ করতে চায় না! সব পরেয়িে পথ চলা!!!

কন্তিু সইে প্রতষ্ঠিান থকেইে আমাকে সরে আসতে হয়! যারা আমাকে কাছ থকেে চনেনে, তারা জাননে– আর্দশ আর ভালোবাসার কনফ্লক্টিে আমি সবসময় আর্দশকইে বছেে নয়িছে!ি ৪-৬ তারখিইে স্বাস্থ্য অধদিফতর আর ন্যাশনাল ইনস্টটিউিট অব ল্যাবরটেরি মডেসিনি অ্যান্ড রফোরলে সন্টোর ল্যাবরে অধ্যাপক তুষার স্যার এবং আমার কাছে যে কজন সাংবাদকি ভাই ও বোনরে নম্বর ছলি তাদরে জানয়িে আমি সরে যাই এখান থকে!ে আমি চলে গছেি মানে এই নয় য,ে এখানকার কোনো সমস্যায় আমি পুলকতি হব বা তা আমাকে ছােঁবে না! যদি কউে দোষ করে থাক,ে তার প্রমাণ সাপক্ষেে অবশ্যই সাজা হব!ে হওয়াই উচতি! তবে আমার প্রশ্ন হলো– দুয়কেজন র্কমচারীর নামে অভযিোগরে পরপ্রিক্ষেতিে একটা প্রতষ্ঠিান যে এতদনি ধরে সবো দয়িে গছেে সব মুর্হূতইে মথ্যিা হয়ে যাব?ে

আমার বশেরিভাগ এফবি ফ্রন্ডে আমার জন্য উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছেনে, ভরসা দয়িছেনে- তাদরে প্রতি কৃতজ্ঞতা! যারা চরিকালই আমার দোষ বরে করতে পরেে বমিল আনন্দ পয়েছেনে, তাদরে জন্য এই পোস্ট নয়...।

সাবরনিার পশোগত দায়ত্বিশীলতা সর্ম্পকে জানতে চাইলে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টটিউিট ও হাসপাতালরে পরচিালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দনি শুক্রবার, সাবরনিার বষিয়টি হাসপাতালরে পক্ষ থকেে স্বাস্থ্য অধদিফতররে মহাপরচিালককে তদন্ত করতে বলা হয়ছে।ে

এ বষিয়ে জানতে চাইলে তজেগাঁও বভিাগরে উপপুলশি কমশিনার হারুন অর রশদি বলনে, মামলার তদন্ত চলছ।ে ডা. সাবরনিার বষিয়টওি আমরা খতয়িে দখেছ।ি তার স্বামী আরফি চৌধুরী স্বীকার করছেনে সাবরনিা জকেজেি হলেথকয়োররে চয়োরম্যান। এর পরও তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে দখো হচ্ছ।ে সাবরনিা কনে, যার সংশ্লষ্টিতা পাওয়া যাবে তাকইে আইনরে আওতায় আনা হব।ে কাউকে ছাড় দয়ো হবে না।

উপরে