ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা, এডিসের লার্ভা পেলেই জরিমানা
নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে চান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তার নির্দেশনা অনুযায়ী বছরব্যাপী মশকনিধন কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিশেষ কয়েকটি পর্যায়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের (চিরুনি অভিযান) সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গত ৬-১৫ জুন প্রথম পর্যায়ের চিরুনি অভিযান শেষে গতকাল থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০ দিনব্যপী চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
শনিবার ১০ দিনব্যাপী দ্বিতীয় পর্যায়ের বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের প্রথম দিনে ডিএনসিসি’র ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে বিশেষ এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়। এতে ১২ হাজার ৬১৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এছাড়া ৮ হাজার ৭৬৪ টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময় ১২টি মামলায় ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যান্য বাড়ি ও স্থাপনার মালিককে সতর্ক করা হয়েছে। ডিএনসিসির জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে অভিযান পরিচালনার লক্ষ্যে এবারও প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করে প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাবসেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি সেক্টরে অর্থ্যাৎ ১০টি সাবসেক্টরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। চিরুনি অভিযানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৬ জন চিকিৎসক, ৯ জন কীটতত্ববিদ, ডিএনসিসির ৩ জন কীটতত্ববিদ এবং ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তাগণ প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছেন। দীর্ঘমেয়াদি আধুনিক ব্যবস্থাপনার অংশ হিসাবে গতবারের মত এবারও এডিসের লার্ভা প্রাপ্তির স্থানসমূহ এবং প্রজনন উপযোগী পরিবেশসমূহের তথ্য অ্যাপে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ের ১০ দিনব্যাপী (৬-১৫জুন) চিরুনি অভিযানে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৩৫টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ১ হাজার ৬০১টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৮৯ হাজার ৬২৬টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময় মোট ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।