সোমবারের মধ্যে বিলবোর্ড-সাইনবোর্ডের অনুমোদন না নিলে উচ্ছেদ
বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, প্রজেক্ট সাইন ও দোকানের সাইনবোর্ডের জন্য আগামী সোমবার পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের থেকে অনুমোদন নেয়া যাবে। এরপর অনুমোদনহীন, অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড অপসারণে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
শুক্রবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল প্রস্তুতিমূলক সভায় এ কথা জানান মেয়র।
মেয়র বলেন, ‘আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে সকল অনুমোদনহীন বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, প্রজেক্ট সাইন, শপ সাইন, প্যানাফ্লেক্স, ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদি স্ব-উদ্যোগে ডিএনসিসির রাজস্ব বিভাগ থেকে অনুমোদন গ্রহণের অনুরোধ করছি। অন্যথায় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে অনুমোদনহীন বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, প্রজেক্ট সাইন, শপ সাইন, প্যানাফ্লেক্স, ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদি অপসারণের লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিএনসিসি এলাকায় কেউ কেউ অবৈধভাবে বিলবোর্ড স্থাপন করে বিজ্ঞাপন প্রচার করছেন। এছাড়া অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ডিএনসিসির অনুমোদন ব্যতীত শপ সাইন, প্রজেক্ট সাইন, সাইনবোর্ড, প্যানাফ্লেক্স, ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদি ব্যবহার করছেন। আবার প্রতিটি দোকানে একটি করে সাইনবোর্ড ব্যবহারের কথা থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে একাধিক সাইনবোর্ড ব্যবহার করছেন। অনেকে নির্ধারিত মাপের চেয়ে বড় সাইনবোর্ড ব্যবহার করছেন। এর ফলে নগরীর সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি ডিএনসিসি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জনগণের অবগতির জন্য মাইকিং এবং গণমাধ্যমে গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হবে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এছাড়া ফুটপাত ও সড়কে অবৈধভাবে রাখা নির্মাণসামগ্রী ও অন্যান্য স্থাপনা অপসারণে তাৎক্ষণিক নিলাম কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান উত্তর সিটি মেয়র।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ মিয়াসহ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।