ঢাকা, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ৩০ আগস্ট, ২০২০ ১৪:৫৩

নগরীর সমস্যা দেখতে বের হলেন ডিএনসিসি মেয়র

অনলাইন ডেস্ক
নগরীর সমস্যা দেখতে বের হলেন ডিএনসিসি মেয়র

নগরীর বিভিন্ন সমস্যা দেখতে বের হয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। 

আজ রবিবার (৩০ আগস্ট) সকাল পৌনে ৭টার দিকে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর থেকে ডিএনসিসির বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকার পরিচ্ছন্নতা, মশক নিধন, সড়ক মেরামত, চলমান উন্নয়নমূলক কাজ, অবৈধ ফুটপাত দখল, অবৈধ বিজ্ঞাপনী সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি পরিদর্শন করেন তিনি।

উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর থেকে শুরু হয় এই পরিদর্শন। এরপর মিরপুর, কচুক্ষেত, মগবাজার, গুলশান হয়ে বনানীতে শেষ হয় বিশেষ এই কার্যক্রম।

সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে যান মেয়র আতিক। সেখানে একটি বাড়ির সামনে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় তিনি  বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় থানার পাশে ডাম্পিং করে রাখা গাড়িতে পানি জমে তাতে এডিস মশার লার্ভা জন্মেছে কিনা- তা পরীক্ষা করেন। থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে তিনি এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

এর পর উত্তরায় খিজির খাল পরিদর্শন শেষে সকাল ৮টায় মিরপুরের কালশী খাল এবং আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন মেয়র। কালশী এলাকার আশেপাশের গলিতে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে দোকান বসানোর কারণে তিনি ক্ষুব্ধ হন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিএনসিসি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

কালশীতে প্রেস ব্রিফিংয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, এরপর পরিদর্শনে বের হলে সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট ও ট্রাক, লোডার, বুলডোজার ইত্যাদি থাকবে। সড়ক ও ফুটপাতের ওপর নির্মাণসামগ্রী, দোকান বা অন্য কিছু পেলে তা সাথে সাথে নিলামে বিক্রি করা হবে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা এ অভিযান শুরু করব।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, আপনারা দেখেছেন সুন্দর ফুটপাতের ওপর নির্মাণসামগ্রী রেখে তা নষ্ট করা হচ্ছে। এই শহরে এগুলো বরদাশত করা হবে না। ১ অক্টোবর থেকে আমরা ঝুলন্ত তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজস্বের আওতা বাড়ানোর জন্য চিরুনি অভিযান শুরু হবে। আমরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে যারা ট্যাক্সের আওতায় আসেনি, তাদেরকে ট্যাক্সের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেব। এটি চলমান থাকবে।

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, কালশীতে একসময় অনেক জলাবদ্ধতা হতো, এখন আর সেরকম নেই। একইভাবে বনানী এয়ারপোর্ট রোডের জলাবদ্ধতাও নিরসন করা হয়েছে। আশকোনায় নতুন খাল খনন করা হয়েছে। মেট্রোরেল প্রজেক্টের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনেরও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পরিদর্শনকালে মেয়র আতিকুল ইসলাম মিরপুরের কিছু সড়কের উন্নয়নকাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন। মিরপুর থেকে মগবাজার যাওয়ার পথে কচুক্ষেতে রাস্তার ওপর ময়লার ভাগাড় দেখে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। মগবাজার রেল ক্রসিংয়ের কাছে প্রধান সড়কে ফ্লাইওভারের নিচে রাখা ময়লার কন্টেইনারগুলো সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেখানে একটি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণের জন্য রাজউক ও হাতিরঝিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি।

এরপর গুলশান-১ ও গুলশান-২ এর মাঝে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক সামনের ফুটপাথ দখল করে রাখা নির্মাণ সামগ্রী দেখে গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েন মেয়র। এসময় এভাবে ফুটপাত দখল করে বালু রাখায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ভৎর্সনা করেন। কাউকে না পাওয়ায় বালু জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের সকল অবৈধ বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর সাইদুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল হামিদ মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

উপরে