১৫ আগস্ট ‘গণস্বাস্থ্য প্লাজমা সেন্টার’ উদ্বোধন
করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তি থেকে প্লাজমা সংগ্রহের জন্য ‘গণস্বাস্থ্য প্লাজমা সেন্টার’ উদ্বোধন করতে যাচ্ছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির স্মরণে ১৫ আগস্ট করোনামুক্ত ব্যক্তি থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার দেশ রূপান্তরকে এ কথা জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দেশে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সহায়তার জন্য আমরা প্লাজমা সেন্টার চালু করতে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির স্মরণে আগামী ১৫ আগস্ট ধানমন্ডিস্থ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এ সেন্টার উদ্বোধন করা হবে। চালুর পর থেকে প্রাথমিক অবস্থায় আমরা প্রতিদিন ২৫ রোগীকে প্লাজমা দিতে পারব। প্লাজমা সংগ্রহ ও প্রদানের জন্য বিদেশ থেকে আরো মেশিন আমদানি করছি আমরা। তখন আশাকরি প্রতিদিন ৬০ রোগীকে প্লাজমা দেওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও প্লাজমা পাওয়া যাচ্ছে ৫ হাজার টাকায়, কিন্তু সেটি আমজনতার সবাই পাচ্ছেন না। একে ঘুষ দাও, ওকে ঘুষ দাও, এর সঙ্গে যোগাযোগ করো, ওকে তদবির করো, এভাবেই চলছে। এ কারণেই সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা ভেবে আমরা প্লাজমা সেন্টারটি চালু করতে যাচ্ছি।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালেই প্লাজমা সেন্টার স্থাপন করা উচিত জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘তবে তার আগে প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ করতে হবে। সরকারের মেশিন কেনার প্রতি যত আগ্রহ কাজ করে, সেগুলো দক্ষভাবে পরিচালনার জন্য কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে তারা ততটাই উদাসীন। শুধু ব্যয়বহুল ও অত্যাধুনিক মেশিন থাকলেই হবে না, সেগুলোর সাহায্যে সুলভ মূল্যের চিকিৎসা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছেও দিতে হবে।’
সম্পূর্ণ মানবিক তাগিদে ‘গণস্বাস্থ্য প্লাজমা সেন্টারে’ রক্ত দিতে দেশের সব করোনামুক্ত ব্যক্তির প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘করোনামুক্ত রোগীরা শুধু রক্ত দিলেই হবে। আমরা সেই রক্ত থেকে প্লাজমা বের করে নিব।’
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির শুরু থেকেই দেখছি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সরকার ভুল পথে হাঁটছে। হাসপাতালের লাইসেন্স নিয়ে তাদের যত মাথাব্যথা, সেবার সহজলভ্যতা ও সুলভ মূল্যে বা ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে সেবা প্রদানের বিষয়টি তাদের চিন্তার মধ্যেই নেই।’
মুক্তিযুদ্ধের এ সংগঠক বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে মানুষ অনেকাংশে দুর্বল হয়ে পড়েন। অন্য চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীদের প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হলে তারা নতুন জীবনীশক্তি ফিরে পান। কিন্তু দেশে প্লাজমা গ্রহণ ও প্রদানের সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা না থাকার কারণে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ব্যয় করে মাত্র ২০০ মিলিলিটার প্লাজমা নিতে হচ্ছে। এমন নৈরাজ্য অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষেত্রেও দেখেছি।’