উত্তরা থেকে সাত রাস্তা পর্যন্ত ট্রাফিক সিগন্যাল থাকবে না
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘উত্তরা থেকে সাত রাস্তা পর্যন্ত সড়কে কোনও ট্রাফিক সিগন্যাল থাকবে না। এজন্য এই সড়কটিতে ১১টি ইউলোপ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে সড়কটি যাতায়াতে এখন যে সময় লাগে প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হলে তার ৭৫ ভাগ সময় বেঁচে যাবে।’
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে এসে রাজধানীর উত্তরার কাওলা ইউলোপে তিনি এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকার উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের যাতায়াতে কয়েকটি মোড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আমরা সেই যানজট দূর করার উদ্যোগ নিয়েছি। কোনও ধরনের ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়াই এই উত্তরা থেকে সাত রাস্তা পর্যন্ত যানবাহন চলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৬ সালে আমাদের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক এই প্রকল্পটি গ্রহণ করেন। পরে এটি আটকে গিয়েছিল। বলতে গেলে এটা পুরোপুরি ঘুমন্ত অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল। আমি গতবার যখন মেয়র হয়েছি তখন আমার একটা কমিটমেন্ট ছিল আনিসুল ভাইয়ের যে কাজগুলো বাকি রয়েছে সেগুলো আমি এগিয়ে নেবো। তার মধ্যে এটি একটি ছিল। পরে আমি দেখতে পেলাম এখানে রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের জমি আছে। সড়কে তাদের বাতি আছে। এ কারণে বেশ কিছু বাধা ছিল। প্রকল্পের কাজ আরও আগেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। আমি সবাইকে ডেকে সমন্বয় করেছি। তাদের সঙ্গে মিটিং করতে শুরু করলাম। তাদের জায়গাগুলো আমাদের কিনে নিতে হয়েছে। তখন প্রকল্প ব্যয়ও কিন্তু বেড়েছে।’
মেয়র বলেন, ‘এই সড়কে ১১টি ইউলোপ নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। এখন ১০টি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- উত্তরা রাজলক্ষ্মী, উত্তরা র্যাব-১ অফিসের সামনে, কাওলা, বনানী ওভারপাসের নিচে, বনানী কবরস্থান ও কাকলী মোডের মাঝখানে, বনানী চেয়ারম্যানবাড়ী, মহাখালী মোড়, মহাখালী বাস টার্মিনাল, নাবিস্কো মোড় ও বিজি প্রেস অফিস। এগুলো যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি, আপনাদের আমি কথা দিচ্ছি উত্তরা থেকে দক্ষিণে নাবিস্কো বা সাত রাস্তা পর্যন্ত যেতে যে সময় ব্যয় হয় তার ৭৫ শতাংশ বাঁচবে।’
মেয়র জানান, জিওবি ও নিজস্ব তহবিল মিলে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আগে এর ব্যয় ধরা হয়েছিলো ২৪ কোটি টাকা। এখন এটি হয়েছে ৩১ কোটি ৮০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, ‘এ বছরের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে মোট ১০টি ইউলোপের নির্মাণ শেষ করার জন্য আমি নির্দেশ দিয়েছি। আজ আমি কাজের অবস্থা সরেজমিন দেখবো। এই প্রকল্প হবে আমাদের অগ্রাধিকার প্রকল্প। এটি বাস্তবায়ন হলে জনগণ অনেক সুফল পাবে। আমি মনে করি আমাদের কাজগুলো করতে হবে জনগণের স্বার্থে।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পটি এক সময় প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। সবাই শঙ্কায় ছিল প্রকল্পটি আবারও আলোর মুখ দেখবে কিনা? কিন্তু আমি বলেছিলাম, যেগুলো আমাদের ভালো কাজ সেটাকে কোনোভাবেই বন্ধ রাখা যাবে না। আমি আশা করি এই শহরকে সুন্দর করতেই হবে।’