ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১০ আগস্ট, ২০২০ ২১:৪৭

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়: ওসিসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়: ওসিসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্য ও এক সোর্সের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ইসলামপুরের বস্ত্র ব্যবসায়ী মো. সোহেল। 

সোমবার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। 

মামলার আসামিরা হলেন, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, এসআই পবিত্র সরকার, খালেদ শেখ ও মো. শাহিনুর, কনস্টেবল মিজান এবং পুলিশের সোর্স মোতালেব।

এজহার থেকে জানা গেছে, গত ২ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে কোতোয়ালি থানার ওয়াইজঘাট এলাকা দিয়ে মেয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন বাদী মো. সোহেল। পথে পুলিশ তাকে থামিয়ে তল্লাশি করে পকেটে থাকা ২ হাজার ৯০০ টাকা নিয়ে নেয়।  তল্লাশি শেষে পুলিশ টাকা ফেরত না দিয়ে তাকে চলে যেতে বলে। তখন সোহেল সেই টাকা ফেরত চান। 

অভিযোগে জানা যায়, আসামিরা তখন বাদীকে মারধর করে। ঘটনা দেখে সেখানে লোক সমাগম বাড়তে থাকে। লোকজন এসে জানতে চান, কী হয়েছে? তখন আসামিরা বলে, তার পকেটে ইয়াবা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি বলে দাবি করে। পরে আসামিরা বাদীকে থানায় নিয়ে যায় এবং ৫ লাখ টাকা চাঁদা চায়। চাঁদা না দিলে সোহেলকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ সময় ওসি বাদীর পরিবারের লোকজনদের টাকার ব্যবস্থা করতে বলেন। সোহেলের পরিবারের সদস্যরা রাতেই আসামিদের ২ লাখ টাকা দেন। পরদিন সকালে আরও ১ লাখ টাকা দেন। টাকা দেওয়ার পরও মাদক সেবন এবং শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করার অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় এবং আদলত থেকে অর্থদণ্ড (জরিমানা) দিয়ে  আসামিরাই তাকে জামিন করিয়ে আনেন। 

এসব বিষয়ে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে বলে বাদী মামলায় উল্লেখ করেন। 

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কোতয়ালী থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘সোহেলের অভিযোগ সঠিক নয়। তদন্ত করলেই তার প্রমাণ পাওয়া যাবে।’

 

উপরে