লকডাউনে পশুপাখির জন্ম বেড়েছে মিরপুর চিড়িয়াখানায়
মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যে রাজধানীর মিরপুরে চিড়িয়াখানার প্রাণীদের সংখ্যা বেড়েছে। তারা লকডাউন বেশ ভালোই উপভোগ করছে। জাতীয় চিড়িয়াখানা মিরপুর সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত ২০ মার্চ থেকে চিড়িয়াখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম বলছেন, চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়ার পর সেখানে পশুপাখির সন্তান জন্ম দেয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে।
তিনি বলছেন, লকডাউনের চার মাসে ৫০টি বাচ্চা প্রসবের ঘটনা ঘটেছে যা একটি রেকর্ড। তার মধ্যে রয়েছে জিরাফ, জেব্রা, গাধা, অস্ট্রিচ ও ময়ূরের ডিম থেকেও বেশ কিছু বাচ্চা ফুটানো হয়েছে। এছাড়া দর্শনার্থী না থাকার কারণে প্রাণীরা ঠিক মতো তাদের খাবার খাচ্ছে, ভিড় না থাকায় তারা সন্তান প্রসবের কাজও করতে পারছেন।
জানা যায়, ১৯৭৪ সালে ১৮৬ একর জায়গা ওপর গড়ে ওঠা দেশের সবচেয়ে বড় এই মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা। এখানে ১৯১ প্রজাতির মোট ২ হাজার ১৫০ প্রাণী রয়েছে। নতুন করে চিতাবাঘ যোগ হয়েছে। এখানে মাংসাশী আট প্রজাতির ৩৮টি প্রাণী, ১৯ প্রজাতির বৃহৎ প্রাণী (তৃণভোজী) ২৭১টি, ১৮ প্রজাতির ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী ১৯৮টি প্রাণী রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ১০ প্রজাতির সরীসৃপ ৭২টি, ৫৬ প্রজাতির ১ হাজার ১৬২টি পাখি, অ্যাকুরিয়ামে রক্ষিত ১৩৬ প্রজাতির ২ হাজার ৬২৭টি মৎস্য। সব মিলিয়ে রয়েছে ১৩৭টি পশুপাখির খাঁচা।