ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৫ জুলাই, ২০২০ ১৫:৫৭
সূত্র :

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা উত্তরে বসবে ৬টি পশুর হাট

অনলাইন ডেস্ক
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা উত্তরে বসবে ৬টি পশুর হাট

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় মোট ছয়টি পশুর হাট বসবে। এর মধ্যে গাবতলীতে স্থায়ী পশুর হাট ছাড়া বাকি পাঁচটি অস্থায়ী হাট। ডিএনসিসি থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অস্থায়ী হাটগুলো উত্তর সিটির বিভিন্ন এলাকায় বসবে বলে উল্লেখ করা হয়।

পশুর হাটের স্থানগুলো হলো উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ ভবন পর্যন্ত খালি জায়গা; কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা; ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাচল ব্রিজ সংলগ্ন মস্তুল ডুমনী বাজারমুখী রাস্তার উভয় পাশের খালি জায়গা; ভাটারা (সাইদ নগর) পশুর হাট এবং উত্তরখান মৈনারটেক হাউজিং প্রকল্পের খালি জায়গা।

এছাড়া করোনা ভাইরাসের গণসংক্রমণ রোধে ই-কমার্স অব বাংলাদেশ (ইক্যাব) এর সহায়তায় অনলাইনে কোরবানি পশু কিনে অনলাইনের মাধ্যমে কোরবানি, মাংস প্রক্রিয়াকরণ এবং বাসায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দরপত্র আহ্বানের পরও জনস্বার্থে ছয়টি হাটের ইজারা বাতিল করা হয়েছে। ইজারা বাতিলকৃত হাটগুলো হচ্ছে—বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাব নগর); ভাষানটেক রাস্তার অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত অংশ ও পাশের খালি জায়গা; উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর ব্রিজের পশ্চিম অংশ এবং ২ নম্বর ব্রিজের পশ্চিম পাশের খালি জায়গা; ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠ; মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা এবং মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী সড়ক সংলগ্ন বছিলা হাট।

হাটের ইজারা গ্রহীতাদের যেসব শর্ত মেনে চলতে হবে : গবাদি পশুর হাট ঈদের দিনসহ মোট পাঁচ দিন চালু থাকবে। নির্ধারিত তারিখের বেশি দিন হাট পরিচালনা করা যাবে না। কোরবানির পশুর হাটের নির্ধারিত সীমানা বহাল থাকবে। হাটের সীমানার বাইরে কোন হাট বসানো যাবে না। ইজারা গ্রহীতা নিজ ব্যবস্থাপনায় হাটের চৌহদ্দি সংরক্ষণপূর্বক চৌহদ্দির বাইরে যাতে পশুর হাট প্রসারিত না হয় তা নিশ্চিত করবে। পশুর বিক্রয় মূল্যের ওপর সরকার অনুমোদিত শতকরা পাঁচ টাকা হারে হাসিল আদায় করতে হবে; সরকারি হারের অতিরিক্ত হাসিল আদায় করা যাবে না।

এছাড়া ইজারা গ্রহীতা নিজ খরচে বাজারে দৃশ্যমান একাধিক স্থানে সর্বসাধারণের অবগতির জন্য টোল চার্ট প্রদর্শনের ব্যবস্থা করবেন। হাট হস্তান্তর করার পূর্বে কোন টোল আদায় করা যাবে না। যথাযথ কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় ইজারা বাতিল বলে ঘোষণা করলে ইজারা গ্রহীতা তা মেনে নিতে বাধ্য থাকবেন এবং কোন প্রকার ওজর/আপত্তি করতে পারবেন না। হাটে পশু বেঁধে রাখার জন্য বা অন্য কোন কাজে রাস্তার ইলেকট্রিক পিলার ব্যবহার করা যাবে না।

আবার হাটের যে কোন দুর্ঘটনার জন্য ইজারা গ্রহীতা নিজেই দায়ী থাকবেন। ইজারা গ্রহীতা নিজ দায়িত্বে বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগ করবেন এবং সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করবেন। এ বিষয়ে ইজারা গ্রহীতা ঢাকা বিদ্যুৎ সরবরাহ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবেন। হাটে জেনারেটরের ব্যবস্থা করতে হবে। বৈধ ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত লোক দ্বারা বিদ্যুৎ সংযোগ কাজ করতে হবে। ইজারা গ্রহীতা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের দপ্তরে যোগাযোগ করে হাট চলাকালীন সময়ে হাট এলাকায় নিজ খরচে পুলিশ/আনসার মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

হাটের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব কর্মী নিযুক্ত কতে হবে। হাটের মধ্যে যত্রতত্র ময়লা আর্বজনা ফেলে রাখা যাবে না। একটি নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আর্বজনা রাখতে হবে। রাস্তার ও অন্যান্য অবকাঠামোর ক্ষতি করলে জামানত বাজেয়াপ্তকরণসহ আইনানুগ ক্ষতিপূরণ ধার্য্য করা হবে এবং ইজারা গ্রহীতা তা পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবেন। ইজারা গ্রহীতা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা রাখবেন। ইজারা গ্রহীতা জোরপূর্বক কোন পশুকে হাটে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করতে পারবেন না এবং হাটের আশেপাশের সড়কপথ বা জলপথ দিয়ে গমনকারী কোন পশুর উপর জোর পূর্বক কোন হাসিল আদায় করতে পারবেন না। বর্ণিত হাটের সুবিধাজনক স্থানে ডিএনসিসির ভিজিলেন্স টিমের জন্য একটি এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদের জন্য একটিসহ মোট ২টি অস্থায়ী শেড নির্মাণ করতে হবে। 

রাস্তায় যান ও জন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে এমন রাস্তার পার্শ্বে/রাস্তার এমন কোন জায়গায় র‌্যাম্প তৈরি করে গবাদি পশু ট্রাক থেকে লোড-আনলোড করা যাবে না। হাটের মধ্যে পার্কিংয়ের স্থান নির্ধারণপূর্বক পশু নামানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ইজারা গ্রহীতাকে নিজ ব্যবস্থাপনায় হাটের বিভিন্ন স্থানে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। ইজারা গ্রহীতাকে হাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক অস্থায়ী টয়লেট স্থাপন করতে হবে। অস্থায়ী টয়লেটের স্থানে হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক সাবান রাখতে হবে। হাট শেষ হওয়ার সাথে সাথে ইজারাদারের নিজ দায়িত্বে হাটের বাঁশ-খুটি অপসারণ করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে অপসারণ খরচ তার জামানত থেকে কর্তন করা হবে।

উপরে