এসির বিস্ফোরণ এড়াতে করণীয়
এসি বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনা সম্পর্কে সজাগ হওয়ার সময় এসেছে। একটু সচেতন হলে এসব সমস্যা এড়ানো যায়। শুধুমাত্র সচেতনতাই পারে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে।
যেসব কারণে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে:
১. এসির পাওয়ার কেবল সঠিক স্পেক-এর ব্যবহার না করলে।
২. এসির কনডেনসারে ময়লা থাকলে কম্প্রেসরে হাই টেম্পারেচার ও হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।
৩. এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ হলে এসির ভেতরে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে কম্প্রেসর ব্লাস্ট হতে পারে।
৪. কম্প্রেসরের লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করলে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।
৫. কম্প্রেসরে প্রয়োজনীয় পরিমাণ রেফ্রিজারেন্ট না থাকলে ভেতরের তাপমাত্রা লিমিটের চেয়ে বেড়ে গিয়ে।
৬. সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম না করলে।
৭. কম্প্রেসরে সঠিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ না করলে কম্প্রেসরে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।
৮. সঠিক রেটিংয়ের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার না করলে।
রক্ষা পাওয়ার উপায়: ভালো মানের এবং সঠিক স্পেকের পাওয়ার কেবল ব্যবহার করতে হবে। এসির কনডেনসার নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। কম্প্রেসরে হাই টেম্পারেচার ও হাই প্রেশার নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।
এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ আছে কি না, তা দেখতে হবে। কম্প্রেসরে প্রয়োজনীয় রেফ্রিজারেন্ট আছে কি না, তা অভিজ্ঞ ও বিশ্বস্ত কোম্পানির টেকনিশিয়ান দিয়ে যাচাই করতে হবে।
কম্প্রেসরের লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করা যাবে না। সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম করতে হবে।
এসবের পাশাপাশি বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের এসি, কম্প্রেসর এবং রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা উচিত। নিম্নমানের অখ্যাত বা নকল ব্র্যান্ডের এসি এবং কম্প্রেসর ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
অনেক পুরোনো এসি কখনোই কিনতে যাবেন না।