রূপচর্চায় তেজপাতার ৬ ম্যাজিক
রান্নায় সুগন্ধি মসলা ছাড়াও তেজপাতার রয়েছে অনেক গুণ। যেমন শারীরিক নানা সমস্যা থেকে মুক্ত রাখতে সহায়তা করে তেজপাতা। শুধু তাই নয়, তেজপাতার রয়েছে আরো বেশ কিছু অসাধারণ ব্যবহার। আর তা হচ্ছে রূপচর্চায়। অবাক হওয়ারই কথা। আমরা সবাই জানি রূপচর্চায় তেজপাতার অসাধারণ তেজের কথা। আজ জানবো মাত্র পাঁচটি শুকনো তেজপাতা আমাদের রূপচর্চায় কীভাবে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। চলুন জেনে নেয়া যাক তেজপাতার ম্যাজিক-
১. একটি প্যানে ২ কাপ পানিতে ৫টি শুকনো তেজপাতা নিয়ে ঢেকে জ্বাল দিন। এরপর ঢাকনা খুলে ২ মিনিট জ্বাল দিয়ে একটি সসপ্যানে নামিয়ে নিন। এরপর একটি তোয়ালে দিয়ে মাথাসহ সসপ্যানটি ঢেকে ভাপ নিন আপনার ত্বকে। এভাবে মিনিট দশেক ভাপ নিলেই যথেষ্ট। সপ্তাহে দু’বার এভাবে করুন, ব্রণ ও রিংকেল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
২. তেজপাতার অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের যে কোনও ইনফেকশন দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। ছোটখাটো কাটা ছেঁড়া, জখমের দাগ এবং পোকামাকড়ের কামড়ের সমস্যা সহজেই দূর করতে পারেন কাঁচা তেজপাতার রসের মাধ্যমে।
৩. পানিতে তেজপাতা ভালো করে ফুটিয়ে তা ছেঁকে নিয়ে চুল ধোয়ার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে চুল পড়ার সমস্যা একেবারেই দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও তেজপাতার তেল মাথার ত্বকে লাগালে চুলের খুশকি সমস্যা থেকেও দ্রুত রেহাই পাবেন।
৪. ৫০ গ্রাম তেজপাতা গুঁড়া করে নিয়ে ৪০০ মিলি পানিতে জ্বাল দিতে থাকুন, যতক্ষণ না ১০০ মিলিতে পৌঁছায়। শুকিয়ে এলে ছেঁকে পানি আলাদা করে নিন। সেই পানি চুলের গোঁড়ায়, মাথার ত্বকে ভালো করে ম্যাসেজ করে নিন। ৩-৪ ঘণ্টা রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। ব্যস, উকুন সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
৫. কাঁচা তেজপাতা অলিভ অয়েলে ফুটিয়ে তেজপাতার তেল তৈরি করে নিতে পারে। এই তেল দেহে ব্যবহার করলে মশা থাকবে দূরে এবং মশার কামড়ের জ্বালাপোড়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
৬. তেজপাতা গুঁড়া করে টুথপেস্টের সঙ্গে মিশিয়ে তা দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে নিন। দেখবেন খুব দ্রুত দাঁতের হলদেটে দাগ একেবারেই দূর হয়ে গিয়েছে। তবে ঘন ঘন এই পদ্ধতি অবলম্বন করবেন না।