অ্যালার্জি প্রতিরোধে করলা
করলা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সবজি। তেঁতো বলে অনেকেই করলা নামের এই সবজিটি খেতে চান না। তবে এতে রয়েছে অনেক গুন।
পুষ্টি উপাদান: ১০০ গ্রাম করলায় ১.৫-২.০ ভাগ আমিষ, ২০-২৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৮-২.০ মিলিগ্রাম লৌহ এবং ৮৮.৯৬ মিলিগ্রাম খাদ্যপ্রাণ সি আছে।
করলার স্বাস্থ্য উপকারিতা:
১. অ্যালার্জি প্রতিরোধে এর রস দারুণ উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এটি উত্তম।
২. প্রতিদিন নিয়মিতভাবে করলার রস খেলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ৩. বাতের ব্যথায় নিয়মিত করলা রস খেলে ব্যথা আরোগ্য হয়।
৪. আয়ুর্বেদের মতে, করলা কৃমিনাশক, কফনাশক ও পিত্তনাশক। করলার জীবাণু নাশক ক্ষমতাও রয়েছে।
৫. ক্ষতস্থানের উপরে পাতার রসের প্রলেপ দিলে এবং উচ্ছে গাছ সেদ্ধ পানি দিয়ে ক্ষত ধুলে কয়েক দিনের মধ্যেই ক্ষত শুকিয়ে যায়।
৬. অ্যালার্জি হলে এর রস দু’ চা চামচ দুবেলা খেলে সেরে যাবে।
এ ছাড়া জন্ডিস ও লিভারের অসুখে খাবারে অরুচি দেখা দিলে করলা খেলে রুচি আসে। চর্মরোগেও করলা বেশ উপকারী।