ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ২৫ আগস্ট, ২০২০ ১৯:৪১

সবুজ এলাকায় বেড়ে ওঠা শিশুদের আইকিউ বেশি: গবেষণা

অনলাইন ডেস্ক
সবুজ এলাকায় বেড়ে ওঠা শিশুদের আইকিউ বেশি: গবেষণা

গবেষণা বলছে শহুরে জনগোষ্ঠীর মধ্যে সবুজ অঞ্চলে বেড়ে ওঠা শিশুদের মধ্যে বুদ্ধিমত্তার হার তুলনামূলক বেশি। 

১০-১৫ বছর বয়সী ৬০০ জন শিশুর ওপর চালানো গবেষণায় দেখা যায়, শিশু বেড়ে ওঠার পরিবেশে ৩ শতাংশ গাছপালা বৃদ্ধি পেলেই তাদের আই-কিউ স্কোর গড়ে ২.৬ নম্বর বৃদ্ধি পায়। ধনী ও দরিদ্র উভয় অঞ্চলেই এই প্রভাব দেখা গেছে।

এর স্বপক্ষে ইতোমধ্যেই অনেক শক্ত প্রমাণ থাকলেও আই-কিউ পরিমাপ করে চালানো এটিই প্রথম গবেষণা। এর পেছনের কারণ অনিশ্চিত হলেও ধারণা করা হয়, অপেক্ষাকৃত কোলাহলমুক্ত পরিবেশ, সামাজিক যোগাযোগ, খেলাধুলার সুযোগ থাকা ও কম অবসাদগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা এক্ষেত্রে অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।

গবেষকরা বলছেন, তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়া শিশুদের জন্য কিছুটা উন্নতিই অনেক বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।

বেলজিয়ামের হাস্যেল্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক টিম নাওরোট বলেন, 'আমাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বিকাশের সাথে আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কিত, এব্যাপারে অসংখ্য প্রমাণ আছে। এই গবেষণা তার সাথে আই-কিউ পরীক্ষণ সংযুক্ত করে আরেকটি শক্ত প্রমাণ প্রতিষ্ঠা করেছে। শিশুদের পরিপূর্ণ দক্ষতা বিকাশে অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিতকরণে নগর পরিকল্পনাবিদদের সবুজ অঞ্চল গড়ে তোলায় নজর দেয়া উচিৎ।'

প্লস মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটিতে সবুজ অঞ্চল পরিমাপ করতে স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করা হয়েছে। আই-কিউ পরীক্ষণের গড় নম্বর ছিল ১০৫। দেখা যায়, যেই ৪ শতাংশ শিশু ৮০ নম্বরের কম পেয়েছে তাদের বেড়ে ওঠার পরিবেশে কম সবুজ অঞ্চল ছিল। অন্যদিকে বেশি গাছপালা সমৃদ্ধ সবুজ অঞ্চলে বেড়ে ওঠা কোনো শিশুই ৮০'র কম নম্বর পায়নি।

তবে মফস্বল বা গ্রামীণ পরিবেশে বড় হওয়া শিশুদের পরীক্ষার ফলাফলে আলাদা কিছু দেখা যায়নি। নাওরোট এর কারণ হিসেবে বলেন, এসব অঞ্চলের শিশুরা সকলেই পর্যাপ্ত পরিমাণে সবুজ পরিবেশে বড় হয়েছে।

২০১৫ সালে প্রকাশিত বার্সেলোনায় বসবাসরত শিশুদের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা যায়, সবুজ অঞ্চলে বেড়ে ওঠার সাথে তাদের স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ দক্ষতার সম্পর্ক আছে। 

নতুন এই গবেষণাটি আই-কিউর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন অনেক দিক দেখিয়েছে। তবে গবেষণাটিতে, সবুজ অঞ্চলের ধরনের ব্যাপারে তথ্য নেই।   এছাড়াও গবেষণাটিতে শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারেও তথ্য নেই৷ বেলজিয়ামের শিশুরা সাধারণত তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী কোনো স্কুলেই যায়। 

 

উপরে