মেয়েরা কোন ধরনের পর্নো পছন্দ করে? গবেষণায় নতুন তথ্য
পর্নোগ্রাফি কি পুরুষের একচেটিয়া? নারীদের পর্নো দেখা নিয়ে কথা উঠলেই ছি: ছি: রব উঠে। এটাই পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা। যেটা পুরুষ নিজে করে সেটা নারী করলেই খারাপ! কিন্তু সেই দিনকাল আজ আর নেই। মেয়েরাও দাপিয়ে বিচরণ করছেন পর্নো সাইটে। না, এখানে পর্নো দেখার পক্ষে যুক্তি দেখানো হচ্ছে না। রিপোর্টের শুরুতে যেটা বলতে চাওয়া হয়েছে তা হলো পুরুষের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরী।
এবার আসল কথায় আসা যাক। বেশিরভাগ মহিলাই নিজেকে বিপরীতগামী বলে দাবি করলেও তাদের মধ্যে উভকামী বা সমকামী প্রবৃত্তি অবশ্যই বিদ্যমান ছিল। সাম্প্রতিক গবেষণা সে কথাই বলছে। এই ব্যাপারটি আর কেবল পশ্চিম গোলার্ধের একচেটিয়া নয়। ভারতীয় উপমহাদেশেও মহিলাদের পর্নো দেখা একটি স্বাভাবিক আর সাবলীল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই স্বামী কিংবা বয়ফ্রেন্ডের সাথেও দেখছে তারা। কিন্তু একটা প্রশ্ন সমাজ-মনোবিদদের বহুকাল ধরেই ভাবাচ্ছে, সেটা হল কোন ধরনের পর্নো মেয়েদের পছন্দ?
প্রশ্নটা উঠছে এই কারণে যে, পর্ন-ইন্ডাস্ট্রিতে উৎপাদিত সিংহভাগ ছবিই পুরুষের দৃষ্টিকোণ থেকে নির্মিত, যাকে সমাজ বিজ্ঞানের পরিভাষায় ‘মেল গেজ’ (male gaze) বলা হয়। বিশেষ করে গার্ল-গার্ল পর্ন ভিডিও মানেই পুরুষের নিজস্ব নজর থেকে দুই বা ততোধিক নারীর শরীর উপভোগ। লেসবিয়ান বা গার্ল-গার্ল ভিডিও কি একান্তভাবেই পুরুষের? এই তথ্যের অনুসন্ধান শুরু করেছিল মনোবিজ্ঞানীদের একটি দল। তাদের সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে একেবারেই নতুন তথ্য।
গবেষকরা পর্নো সংবেদন জানার জন্য বেছে নিয়েছিলেন দর্শকের বিশেষ একটি প্রত্যঙ্গকে। আশ্চর্য হলেও সত্য সেটি হল— চোখ। পর্নো-দর্শনরতা মহিলাদের চোখের তারার অবস্থা থেকে বোঝা গিয়েছে যে, গার্ল-গার্ল ভিডিও থেকেও তারা প্রত্যাশিত উত্তেজনা প্রাপ্ত হচ্ছেন। প্রসঙ্গত, সমীক্ষায় আহূত মহিলারা কেউই সমকামী নন।
ইংল্যান্ডের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং এই সমীক্ষা-দলের প্রধান জেরাল্ফ রিগার জানিয়েছেন, বেশিরভাগ মহিলাই নিজেকে ‘স্ট্রেট’ বলে দাবি করলেও তাঁদের মধ্যে উভকামী বা সমকামী প্রবৃত্তি অবশ্যই বিদ্যমান ছিল। তাঁদের চোখ সেই কথাই বলছে।
২০১১ সালের বোইসে স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, ৬০ শতাংশ হেটেরোসেক্সুয়াল মহিলাই স্বীকার করেছেন, তাঁরা নারী শরীরের প্রতি আকৃষ্ট হন। এঁদের মধ্যে ৪৫ শতাংশ মহিলা সমলিঙ্গের ব্যক্তিকে চুম্বন পর্যন্ত করেছেন। নারী মনোগহীনে ডুবে থাকা ‘সখি-সংবাদ’-কে ইরোটিকার শিল্পিত অবয়ব প্রদান করে গিয়েছেন প্রাচীন প্রাচ্যের কবি, দার্শনিক, শিল্পীরা। সেই অনুভবের বৈজ্ঞানিক সমর্থন কি এই সমীক্ষা? হতেও পারে।