ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৩ আগস্ট, ২০২০ ০০:৫৫

জীবনের প্রথম চাকরিতে যা করবেন

অনলাইন ডেস্ক
জীবনের প্রথম চাকরিতে যা করবেন

চাকরিটা ভালো লাগবে এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু সাধু সাবধান। কারণ ক্যারিয়ারে প্রথম ধাপ আপনি পার করতে পেরেছেন, এটা খুবই আনন্দের বিষয়। তবে আপনার উপর যে দায়িত্বের বোঝা চেপে বসছে তা কি খেয়াল করেছেন। মনে রাখবেন, এখন মন চাইলে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ট্রেনে চেপে বসতে পারবেন না। পারবেন না আড্ডায় যেতে। প্রথম চাকরিতে ঢুকে জীবনের এমন অনেক কিছুই অস্বাভাবিক লাগবে। তবে সেগুলো মেনে নিয়ে যতটা সম্ভব মুখ বুজে কাজ করে যেতে হবে। কারণ প্রথম চাকরির সারভাইভাল স্ট্র্যাটেজিটাই এমন। অফিসে বসের কাছে প্রথমদিন থেকেই ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করা ক্যারিয়ারে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।তাই আজকের লেখায় আমরা আপনাদের জানাবো প্রথম চাকরিতে যা করবেন।

আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক জীবনের প্রথম চাকরিতে যা করবেনঃ

১। খুব দ্রুত অফিসের দলীয় কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার চেষ্টা করুন। যারা এই কাজটি সফলভাবে করতে পারে তারা বসের ইতিবাচক মনোভাব লাভ করতে সক্ষম হয়। তারা বসের মনে এই ধারণা জন্মাতে সক্ষম হয় যে, তারা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘমেয়াদে বিজয়ী হিসেবে থাকবে। ২। সময় ব্যয় না করে খুব দ্রুতই বসের কাছে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য সাহসী একটি আইডিয়ার প্রস্তাব করুন। এটি হবে আপনার আত্নবিশ্বাস ও বিচক্ষণতা প্রদর্শনের একটি বড় মাধ্যম। ৩। প্রথমদিকে অফিসের কাজে সময় হিসেব করে কাজ না করাই ভাল। অফিসের কাজে অতিরিক্ত সময় ও প্রয়াস প্রদর্শন করুন। বস এ ধরনের কর্মীদের বেশি পছন্দ করেন। নিজের দায়িত্ব–কর্তব্যের পাশাপাশি অন্য সবার দায়িত্ব–কর্তব্যের ব্যাপারে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে নিজের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন। ৪। সবাইকে দেখাতে হবে যে, আপনি লাজুক নন এবং আপনি দলের একজন সদস্য হতে প্রস্তুত। সবার সাথে নিজের পরিচিতি বাড়িয়ে নিন। সবচেয়ে ভাল হয় সবার নাম আর তার সাথে প্রত্যেকের ব্যাপারে ছোট খাটো তথ্য মনে রাখুন। এটি আপনাকে সবার সাথে সুসম্পর্ক নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। ক্যারিয়ারে দীর্ঘমেয়াদী সফলতা অর্জনে দলে নিজের সুদৃঢ় অবস্থান বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ৫। অফিসের সবার সাথে হাসি মুখে কাজ করুন। কারণ অফিসের বস সবসময় এটি পর্যবেক্ষণ করেন যে, আপনি সবার সাথে কীভাবে কথা বলেন ও যোগাযোগ রাখেন। হাসি মুখে কথা বলা ও কাজ করা আপনাকে সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়তা করবে, তা না হলে আপনি কাজে সমস্যার সম্মুখীন হবেন। ৬। অফিসের প্রথমদিন থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের চিহ্নিত করুন, যত সম্ভব তাদের মধ্যে নিজের পরিচিতি বাড়িয়ে নিন। প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের সাথে আলাপ–আলোচনা করুন। আপনার পরিকল্পনা ও মতামত তাদের কাছে সুচারুভাবে উপস্থাপন করুন। নিজের ইচ্ছাশক্তি ও মননশক্তিকে ব্যবহার করুন। ৭। দীর্ঘমেয়াদী সফলতা অর্জন করতে হলে প্রথমদিন থেকেই প্রতিষ্ঠানের  লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদী নীতি বা কৌশল সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান অর্জন আপনার কর্মদক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করবে। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন আপনার দৈনন্দিন কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বস আপনার কাছে কি প্রত্যাশা করেন এবং আপনাকে কি করতে হবে সে ব্যাপারে আপনার সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে হবে।

এছাড়া  কাজ করে করে অনেক কিছু শেখা যায়, কিন্তু কিছু কিছু বিষয় থাকে যেগুলো পড়াশোনায় ও গবেষণার মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। বিভিন্ন ধরনের বই ও গবেষণাপত্র অধ্যয়ন এ ক্ষেত্রে খুবই ফলপ্রসু হতে পারে। এটি আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও কার্যকর করবে। মানুষের মননশক্তি ও চিন্তাশক্তি বৃদ্ধিতে গবেষণা খুবই সহায়ক।

 

উপরে