যেসব উপসর্গ থাকলে মাংস না খাওয়াই ভালো
ভোজন রসিকদের খাবারের তালিকায় প্রথমে থাকে গরুর মাংস। এতে রয়েছে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ও খনিজ লবণণ। ভিটামিন বি-টুয়েভ, উচ্চমাত্রায় প্রোটিন, জিঙ্ক এবং আয়রণ সমৃদ্ধ হলেও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কিছু মানুষকে গরুর মাংস থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
আপনার মধ্যে এসব উপসর্গ থাকলে মাংস না খাওয়াই ভালো—
পেট ফাঁপা
পেট ভারী, ফোলা বা ফাঁপা থাকলে মাংস না খাওয়াই ভালো। এর পাশাপাশি আপনি যদি পেটের স্ফীতি এবং অবসাদ বোধ করেন তাহলে সুস্থ থাকার জন্য মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
বমি ভাব
মাংস পরিপাক না হবার উপসর্গগুলোর মধ্যে বমিবমি ভাব, অম্বল আর বদহজম অন্যতম। এই উপসর্গগুলো আপনাকে প্রচণ্ড অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। এক্ষেত্রে দুপুরের খাবারে আপনি মাংস এড়িয়ে সবজি সালাদ খাবেন।
দুর্বল চর্বণ
মাংস খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করবেন না। আস্তে ধীরে চিবিয়ে খান। একটু সময় নিয়ে খাবার খান। মাংস কম চিবানো হলে পেট ভারী বোধ ও ব্যথার সৃষ্টি করে।
খাদ্যজনিত রোগাক্রান্ত
আপনি যদি মাংস ঠিক মতো হজম করতে অক্ষম হন তাহলে প্রায়ই খাদ্যজনিত রোগে আক্রান্ত হবেন। মাংস সঠিকভাবে হজম করে ব্যর্থ হওয়ার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যাবে।
উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ হচ্ছে মাংস খাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা যেটা হয়তো আপনি বুঝতেই পারেন না। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ হলো নীরব ঘাতক।
শরীর ও নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ
মাংস ঠিকমত পরিপাক না হবার কারণে আপনার শরীর ও নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ দেখা দিতে পারে। পাচনতন্ত্রে মাংস পরিপাকে সমস্যা হলে পাচক অ্যানজাইম দ্বারা দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস তৈরি হয়, যা আপনার শরীর ও নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ আনে।
পেশী কমে যাওয়া
আপনি মাংস পরিপাকজনিত সমস্যায় এক ধরনের বমিবমি ভাব, পেট ফাঁপা ও মোচড়ানো, অবসাদ এবং অস্বস্তিকর অনুভূতি হবার সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি লক্ষণ দেখতে পাবেন। সেটা হলো আপনার পেশী কমে যাওয়া।