ক্ষতিকর স্প্রে বা কয়েল নয়, মশা তাড়ান ঘরোয়া উপায়ে
একটু বৃষ্টি আবার গরম, বছরের এই সময়ে গরমটা অতিরিক্তই বাড়িয়ে দেয়। আর বর্ষা এলেই বাড়তে থাকে মশার উপদ্রবও। মশার কামড় থেকে কী না হয়! ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া... আরো কত কী! তাই একটাও মশা যাতে না কামড়ায়, সব সময় সতর্ক থাকতে হয়।
মশার ধূপ, মশা মারার স্প্রে কোনো কিছু দিয়েই মশা দূর করা যায় না। তবে খুব সহজেই এই মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আজ জেনে নিন এমনই দুটি প্রাকৃতিক, ঘরোয়া কার্যকরী উপায়, যেগুলোর সাহায্যে সহজেই মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এগুলোর থেকে ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ভয়ও তেমন নেই। আসুন এগুলো সম্পর্কে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক-
কর্পূরের ব্যবহার: কর্পূরের গন্ধ মশা একেবারেই সহ্য করতে পারে না। আপনি যে কোনো অষুধের দোকানে বা মুদির দোকান থেকেও কর্পূরের ট্যাবলেট কিনে আনতে পারেন। একটি কর্পূরের টুকরো একটি ছোটো পাত্রে রেখে সেটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এর পর এটি ঘরের কোণে রেখে দিন। অল্প সময়ের মধ্যেই ঘর থেকে মশা গায়েব হয়ে যাবে। দু’দিন পর পাত্রের পানি পরিবর্তন করুন। পাত্রে রাখা আগের পানি ফেলে দেবেন না। এই পানি ঘর মোছার কাজে ব্যবহার করলে ঘরে পিঁপড়ের উপদ্রব থেকেও মুক্তি পাবেন।
লেবু ও লবঙ্গের ব্যবহার: একটি গোটা লেবু দুই টুকরো করে কেটে নিন। এর পর কাটা লেবুর ভেতরের অংশে বেশ কয়েকটা করে লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা গেঁথে শুধুমাত্র মাথার দিকের অংশ বাইরে রেখে লবঙ্গ গেঁথে দিন। এর পর লেবুর টুকরোগুলো একটি প্লেটে রেখে ঘরের কোণায় রেখে দিন। ব্যস, এতেই বেশ কয়েকটা দিন মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই পদ্ধতিতে মশা ঘরের ধারেকাছে ঘেঁষবে না একেবারেই। আপনি চাইলে লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। এতেও মশার ঘরে ঢোকার পথ বন্ধ হবে।