কন্যা সন্তানের বাবারা দীর্ঘজীবী হন: গবেষণা
কন্যা সন্তানেরা এই পৃথিবীতে সমস্ত আনন্দ সাথে করে আসে। কন্যা সন্তানের আগমন তাদের বাবাদের জীবনকে এতোই মূল্যবান করে তোলে যে, তাদের প্রভাবে বাবারা বেশি দিন বাঁচেন বলে এক সমীক্ষায় বলা হচ্ছে। সমীক্ষা বলছে, কন্যা সন্তানহীন বাবাদের তুলনায় কন্যা সন্তানের অধিকারী বাবারা বেশি দিন বেঁচে থাকেন। সন্তান জন্মদানের সময় বাবা-মায়ের স্বাস্থ্য ও শরীর কীভাবে প্রভাবিত হয় তা অনুসন্ধান করার জন্য পরিচালিত হয়েছে এই গবেষণা।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন পোল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় জাজিলোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ৪ হাজার ৩১০ জনেরও অধিক লোকের সঙ্গে কথা বলে ও তথ্য সংগ্রহ করে এই গবেষণা পরিচালনা করেছেন তারা। যার মধ্যে ২ হাজার ১৭৭ জন মা ও ২ হাজার ১৬৩ জন বাবার তথ্য রয়েছে।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, পুত্র সন্তানরা বাবার ওপর কোনো ধরনের প্রভাব ফেলেনি। তবে কন্যা সন্তানরা বাবার দীর্ঘ জীবন পেতে প্রভাব ফেলে।
গবেষণায় আরো দাবি করা হয়েছে, যেসব বাবার যতো বেশি কন্যা সন্তান রয়েছে, তারা ততো বেশি দিন বাঁচেন। তবে এটি বাবাদের জন্য দুর্দান্ত খবর হলেও মায়েদের জন্য নয়। কেননা, আমেরিকার জার্নাল অব হিউম্যান বায়োলোজির প্রকাশিত আরেকটি গবেষণা অনুযায়ী, উভয় সন্তানই তথা পুত্র ও কন্যার জন্ম একজন মায়ের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং তার জীবনকাল হ্রাস করে।
অন্য একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, যেসব নারী বেশি দিন অবিবাহিত থাকেন তারা বেশি সুখী হন।
এই গবেষণার বিপরীতে আরেকটি গবেষণা বলছে, পুত্র কিংবা কন্যা যাইহোক হোক না কেন, সন্তান জন্মদানের ফলে বাবা-মা উভয়ের জীবন দীর্ঘায়িত হয়।
এই গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে।
এই গবেষণা বলছে যে, সন্তানহীন দম্পতির চেয়ে সন্তানের অধিকারী দম্পতিরা বেশি দিন বেঁচে থাকেন।