ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪
আপডেট : ১৬ আগস্ট, ২০২০ ১১:৫৩

সাশ্রয়ী মূল্যে ভেন্টিলেটর তৈরি করল ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী

অনলাইন ডেস্ক
সাশ্রয়ী মূল্যে ভেন্টিলেটর তৈরি করল ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী

সাশ্রয়ী মূল্যে ভেন্টিলেটর তৈরি করল ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সাশ্রয়ী মূল্যের ভেন্টিলেটর তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ঢাকা কলেজ বিজ্ঞান ক্লাবের সদস্য সানি জুবায়ের। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চিকিৎসায় ব্যবহৃত ভেন্টিলেটর নামক যন্ত্রের চাহিদা বেড়েছে৷ করোনা মোকাবেলায় হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ভেন্টিলেটর প্রয়োজন৷ যেসব রোগীর করোনা সংক্রমণ খুবই মারাত্মক তাদের জীবন রক্ষায় কার্যকরী একটি যন্ত্র ভেন্টিলেটর৷ রোগীর ফুসফুস যদি কাজ না করে তাহলে রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজটা ভেন্টিলেটর করে দেয়৷

তবে প্রয়োজনের তুলনায় দেশে ভেন্টিলেটরের পরিমাণ খুবই কম৷ স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, বাংলাদেশে বর্তমানে ১ হাজার ২৫০টি (সরকারি হাসপাতালে ৫০০টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৭৫০টি) ভেন্টিলেটর রয়েছে৷ আর এসব ভেন্টিলেটরের বাজার মূল্যও বেশি৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশে অন্তত পঁচিশ হাজার ভেন্টিলেটর থাকা দরকার। করোনা মহামারী বিশ্বজুড়ে চলতে থাকায় ভেন্টিলেটরের চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি এত বিপুল পরিমাণে ভেন্টিলেটর উৎপাদন, বিপণন সম্ভব হয়ে উঠছে না।

তাই প্রয়োজনের তুলনায় ভেন্টিলেটর সংকটে রয়েছে দেশের হাসপাতালগুলো৷ নিজের তৈরি সাশ্রয়ী মূল্যের এই ভেন্টিলেটর সম্পর্কে শিক্ষার্থী সানি জুবায়ের বলেন, আমরা বাইরের দেশ থেকে যে ভেন্টিলেটর আনি এগুলোর দাম অনেক বেশি৷ ওই ভেন্টিলেটর বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়৷ শুধু যে শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজ তেমন না, অনেক ক্যাটাগরি থাকে৷ বর্তমানে করোনা চিকিৎসার জন্য যেটা প্রয়োজন- তা হল ভেন্টিলেটরের সাহায্যে ফুসফুসে অক্সিজেন সাপ্লাই দেয়া এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বের করা৷ আর এই কাজটা করা হয় মেকানিক্যালভাবে৷

আমার তৈরি ভেন্টিলেটর এই কাজটা পুরোপুরি করতে সক্ষম৷ তিনি বলেন, ভেন্টিলেটরের নলটা যখন শ্বাসযন্ত্রে ঢুকানো হবে তখন নির্দিষ্ট সময়ে বাতাসের প্রেসার, শ্বাস-প্রশ্বাসের রেট সিলেক্ট করে দেয়া যাবে৷ আর রোগীর ক্ষেত্রে এটা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে৷ আমি যদি রেস্পিরেটরি রেট ২৪ করে দেই, তাহলে প্রতি মিনিটে ফুসফুস ২৪ বার খুলবে ও বন্ধ হয়ে অক্সিজেন সাপ্লাই করবে ও কার্বন ডাই অক্সাইড বের করবে৷

 

 

উপরে