যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বসহ যেসব বিষয়ে আমূল পরিবর্তন হবে
আমেরিকার আড়াইশ বছরের ইতিহাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যতিক্রমী প্রেসিডেন্ড হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। একবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে পরের নির্বাচনে হেরে তৃতীয় বারের চেষ্টায় আবারো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া নজির গড়েছেন তিনি। সেই সাথে জড়িত হয়েছেন নানা কেলেঙ্কারিতে।
সব পাশ কাটিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে যখন প্রেসিডেন্ড নির্বাচত হয়ে ভাগ্য বদল করেছেন ট্রাম্প। ঠিক তখনই শত বছর ধরে চলে আসা নানা নীতি বদল আসছে। ১৮৪৫ সাল থেকে মানা রীতি অনুযায়ী আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ড হিসেবে শপথ নিবেন ট্রাম্প। কিন্তু ক্ষমতা গ্রহণের আগেই কিছু নীতির পরিবর্তনের আগাম ঘোষনা দিয়ে রেখেছিলেন ট্রাম্প। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নাগরিকত্ব সুবিধা ও অধিকার। আমেরিকার ভূখন্ডে জন্মগ্রহণ করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে যে আইন প্রচলিত ছিল। তা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখে ছিলেন নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ড। একই সাথে ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িতদের ক্ষমার ঘোষনা দিয়েছেন ট্রাম্প।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এই প্রতিবেদনের তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি। ২০২১ সালে ৬ জানুয়ারি ওয়াসিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিল ভবনে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে হামলা চালায় ট্র্যাম্পের সমর্থকরা। কংগ্রেসের যৌথ ঐ অধিবেশনের দিন জো বাইডেনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ড হিসেবে ঘোষনা করার প্রস্তুতি চলছিলো। সেখানে ঢুকে তারা রীতি মতো তান্ডব চালায়। হামলাকারিরা সবাই ছিলো সশস্ত্র। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে আমেরিকার গণতন্ত্রের চর্চাকে লজ্জায় ফেলে।
নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বর বিধান বাতিল করার পরিকল্পনা করেছেন ট্রাম্প। এই রীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা কেউ তার বাবা মা অন্য দেশে জন্ম গ্রহণ করলেও মার্কিন পাসপোর্ট তথা নাগরিকত্ব পেতে পারেন। কোন শিশু ভুমিষ্ট হওয়া মাত্র তাকে যক্তরাষ্ট্রের নাগরিক্ত হিসেবে গণ্য করা হয় বিধায় ঐ শিশুর বয় ১৮ বছর পার হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে বড় করা এবং দেখা শোনা করার জন্য তার বাবা-মাকেও বৈধভাবে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়। একবার বৈধ বসবাসের অনুমতি পেলে নাগরিকত্ব ও গ্রীণ কার্ড পাওয়ার পথ অনেকটাই সুগম হয়। ফলে ট্রাম্পের নতুন নির্দেশনা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারি বৈধ নথিবিহীন অভিবাসীদের জন্য হবে একটি বড় ধাক্কা।
ট্রাম্প বিদেশি শিক্ষার্থীদের দ্রুত ক্যাম্পাসে ফিরে আসারও আহবান জানান তিনি।