সিরিয়ার ক্ষমতায় আসছেন কারা?
বিদ্রোহীদের দখলে এখন রাজধানীসহ সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল। বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়াকে মুক্ত ঘোষণা করেছেন বিদ্রোহীরা। হায়াত তাহরির আল শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে বিদ্রোহীদের গ্রুপগুলো মাত্র তিনটি শহর দখল করে নেওয়ার পরই পালিয়ে যান আসাদ।
সিরিয়া এখনো একটি বিভক্ত দেশ, বছরের পর বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের গভীর ক্ষত এখনো কাটেনি। তবে কয়েক দিন আগে বিদ্রোহীরা হঠাৎ করেই ভয়ানক অভিযান শুরু করেন। ফলে আসাদ বাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়। পরাজয় হয় আসাদের। তবে যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে সিরিয়ার জনগণের জন্য একটি কার্যকর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার মতো কোনো অগ্রগতি হয়নি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার পতনের পর কারা শাসন করবেন সিরিয়া।
ক্ষমতার শূন্যতা কীভাবে পূরণ হবে? যদিও তা এখনো অস্পষ্ট। কারণ বিরোধী গোষ্ঠীগুলো ঐক্যবদ্ধ নয় এবং তাদের মধ্যে আগের বিভেদ এবং অন্তর্কলহ রয়েছে। যে গোষ্ঠী (এইচটিএস) নতুন বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তাদের ভিত্তি আল-কায়েদার উগ্রবাদ। তাদের নেতা অন্যান্য সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন, তারা তাদের মতাদর্শ চাপিয়ে দেবেন না। তবে মানুষ স্বভাবতই উদ্বিগ্ন যে সামনে কী ঘটতে যাচ্ছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সিরিয়া আরও বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়ে যেতে পারে। কারণ সেখানে বিভিন্ন গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য একে অপরের সঙ্গে লড়াই করবে। ইতোমধ্যে অত্যন্ত অস্থিতিশীল এবং উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চলে এই পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
তবে আপাতত সিরিয়ার ভেতরে এবং বাইরে থাকা অনেক মানুষ একটি নতুন আশা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ। তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত এলাকার কাছে আছেন বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য সংবাদদাতা হুগো ব্যাচেগা। তিনি লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট আসাদ বিদায় নিলে বহু মানুষ খুশি হবে কিন্তু এরপরই একটি প্রশ্ন নিশ্চিতভাবে আসবে যে এরপর কী হবে।
এবারের বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসলামপন্থি বিদ্রোহী হিসেবে পরিচিত এইচটিএস, যাদের রুট হলো আল-কায়েদা। বহু বছর ধরেই তারা তাদের জাতীয়তাবাদী শক্তি হিসেবে পরিচিত করানোর চেষ্টা করছে। তবে অনেকেই এটা মানতে রাজি নন। তাদের মতে গ্রুপটি এখনো চরমপন্থি সহিংস একটি সংগঠন এবং সে কারণেই এরপর দেশটিতে কী ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি