রাম মন্দির উদ্বোধনের একদিন পরেই বানর নিয়ে ‘লঙ্কাকাণ্ড’
একদিন আগেই উদ্বোধন হয়েছে ভারতের অযোধ্যায় রাম মন্দিরের। যে মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে আয়োজনের কমতি ছিল না দেশটির সরকারের। প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা খরচে তৈরি এই মন্দির উদ্বোধনের একদিন পার না হতেই ঘটে গেছে এক নাটকীয় ঘটনা।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাম মন্দির উদ্বোধনের পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মন্দিরের সুরক্ষিত প্রাঙ্গণে হঠাৎ প্রবেশ করে একটি বানর। রামভক্তদের দাবি, নতুন মন্দিরে স্থাপিত রামের শৈশবের মূর্তি (রাম লালা) দেখতে হাজির হয়েছিলেন স্বয়ং হনুমান!
প্রতিবেদনে বলা হয়, এদিন বেলা ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে রাম মন্দির প্রাঙ্গণের দক্ষিণের গেট দিয়ে প্রবেশ করে ওই বানর। শুধু তা-ই নয়, বানরটি সবাইকে ফাঁকি দিয়ে একেবারে রামের প্রতিমূর্তির কাছে চলে যায়।
আগের দিনের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর থেকেই মন্দির এলাকায় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা জারি করা হয়। এ জন্য মন্দিরের বাইরে নিরাপত্তারক্ষীরা মোতায়েন ছিলেন। কিন্তু তাঁদের অপ্রস্তুত করে উপস্থিত হয় অনাকাঙ্ক্ষিত সেই অতিথি। রামের মূর্তির কাছাকাছি চলে যেতে পারে—এই আশঙ্কায় বানরটির দিকে ছুটে যান নিরাপত্তারক্ষীরা।
তবে কোনো ধরনের অঘটন না ঘটিয়েই রাম লালা কক্ষটি খুব সুন্দরভাবেই অতিক্রম করে উত্তর গেটের দিকে এগিয়ে যায় ওই বানর। কিন্তু সেই গেট বন্ধ থাকায় বানরটি মন্দিরের পূর্ব দিকে রওনা হয় এবং উপস্থিত পূজারিদের মাঝখান দিয়েই ধীরেসুস্থে এটি পূর্ব গেট দিয়ে বেরিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরপরই মন্দিরসংশ্লিষ্ট ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট দেওয়া হয়।
যেখানে বলা হয়, ‘মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে একটি বানর দক্ষিণের গেট দিয়ে গর্ভগৃহে প্রবেশ করে এবং উৎসবমূর্তির খুব কাছাকাছি যায়। বাইরে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা এটি দেখে বানরের দিকে ছুটে যায় এই ভেবে যে বানরটি প্রতিমাটি ফেলে দেবে। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা বানরের দিকে ছুটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বানরটি শান্তভাবে উত্তরের গেটের দিকে দৌড়ে গেল। গেট বন্ধ থাকায় সে পূর্ব দিকে চলে গেল এবং ভিড়ের মধ্য দিয়ে কোনো ঝামেলা না করে পূর্ব দিকের গেট দিয়ে বেরিয়ে গেল। আমাদের মনে হয়েছে, যেন হনুমানজি নিজেই রাম লালা দেখতে এসেছেন।’
অনেক ভক্তও বিষয়টিকে ভগবান রামের ওপর দেবতা হনুমানের অভিভাবকত্ব এবং সদ্য প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে তার আশীর্বাদের চিহ্ন হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। ]