ভারতীয় গরুর মতো ‘বিশেষ ক্ষমতা কোনো গরুর নেই’
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ২০১৯ সালে জাতীয় গরু রক্ষা কমিশন গঠন করেছিল। এই কমিশনের উদ্দেশ্য গরু রক্ষা। কমিশনের ওয়েবসাইটে আরও যেসব উদ্দেশ্যের কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, গরু জবাই কিংবা গরুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নিষিদ্ধকরণ সম্পর্কিত আইনগুলির যথাযথ প্রয়োগ। ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে গরু জবাই বন্ধ হলেও অনেক রাজ্যেই চলছে এই কাজটি।
গরুর সুরক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন পাঠ্যবইও চালু করা হয়েছে। পশুপালন ও গবাদিপশু মন্ত্রণালয়ের আওতায় কমিশনের প্রকাশ করা শিক্ষা উপকরণগুলো ভারতের বেশ কয়েটি ভাষায় অনলনাইনেও প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার অনলাইনে এই পরীক্ষা হবে।
এই উপকরগুলোতে গরু ব্যবসা এবং হিন্দু ধর্মগ্রন্থের বক্তব্য সম্পর্কিত অধ্যায় রয়েছে। কোর্সটিতে জাতের উন্নতি, গোবর থেকে জৈব সার তৈরি, গো-মূত্র থেকে কীটনাশক তৈরি, গরু পর্যটন প্রচারের ধারণা, পরিবেশগত কারণে প্লাস্টারের পরিবর্তে গোবর ব্যবহার এবং ভারতীয় ও বিদেশী গরুর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে ধারণা দেয়।
শিক্ষা উপকরণগুলোতে কিছু ভিত্তিহীন দাবিও করা হয়েছে। যেমন ধরুন- ভারতীয় গরুর মধ্যে সূর্য নাড়ি রয়েছে, যেটি সূর্যরশ্মি থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করে এবং এটি গরু তার দুধের মধ্যে মিশ্রিত করে। বিদেশি গরুর মধ্যে এই ক্ষমতা নেই। মানুষ ও অন্যান্য সৃষ্টিজীবের প্রতি আবেগ রয়েছে দেশি গরুর। বিদেশি গরুর মধ্যে এ ধরনের কোনো আবেগ দেখা যায়নি। ভারতীয় গরু ‘সতর্ক’ ও ‘শক্তিশালী’। কিন্তু বিদেশি গরু হচ্ছে ‘অলস।’