পুতিনকে কী জরুরি বার্তা পাঠালেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা?
ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার বাকের কলিবফ সম্প্রতি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর বিশেষ বার্তা নিয়ে মস্কো সফর করেছেন।
মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে লেখা বার্তাটি কলিবফ রাশিয়ার পার্লামেন্ট স্পিকার ভিজিস্লাভ ভোলোদিনের কাছে হস্তান্তর করেন।
বর্তমান আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা কী প্রয়োজনে পুতিনকে এমন জরুরি বার্তা পাঠালেন তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ইরানসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নানা জল্পনা চলছিল। বাকের কলিবফের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষ সহকারী ও সাবেক উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান সে জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, সদ্য আমেরিকার ক্ষমতা গ্রহণকারী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করে এখন পর্যন্ত ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসা বা তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার কোনও পদক্ষেপ নেননি। এ অবস্থায় ওয়াশিংটনকে এ বার্তা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল যে, ইরান পরমাণু সমঝোতায় আমেরিকার ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করবে না বরং তেহরান তার অগ্রগতির জন্য বিকল্প উপায় খুঁজে নেবে।
সিরিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ইরান ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা দু’দেশের জন্য দৃষ্টান্তমূলক অভিজ্ঞতা বয়ে এনেছে জানিয়ে আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, আমেরিকাকে পাশ কাটিয়ে কিভাবে তেহরান-মস্কো সহযোগিতাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়েও পুতিনকে বার্তা পাঠিয়েছেন আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী।
বার্তায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা পুতিনকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইরান যেমন তার মূল নীতি অর্থাৎ ‘না প্রাচ্য ও না পাশ্চাত্য’ রক্ষা করবে তেমনি গোটা বিশ্বের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মানজনক সম্পর্ক রক্ষা করে চলবে তেহরান। হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান আরও জানান, আগামী দিনগুলোতে এশিয়া মহাদেশ গোটা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে এবং সেখানে ইরান-রাশিয়া সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।