‘পুরুষত্বের সংকট’! ছেলেদের মধ্যে মেয়েলি স্বভাব: দাবি চীনের
চীনে স্কুলগামী বালকদের একটি বড় অংশ 'মেয়েলি' স্বভাবের হয়ে উঠেছে। তাই তাদের 'কঠোর' করে তুলতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। একে 'পুরুষত্বের সঙ্কট' বলে অবহিত করেছে দেশটির গণমাধ্যম ও শিক্ষাবিদেরা।
দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় বালকদের মধ্যে ইয়াং বা পুরুষালি শক্তি জাগিয়ে তুলতে; আরও বেশি ক্রিড়া প্রশিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। একইসঙ্গে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ক্লাসগুলোকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর সুপারিশ করা হয়।
শীর্ষ এক সরকারি কর্মকর্তার মতে, 'বালকদের মেয়েলি হয়ে ওঠা ঠেকানোর জন্য এ পদক্ষেপ। গত সপ্তাহে পরিকল্পনাটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে এর পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক গণমাধ্যমে। চলছে অভিভাবকদের মধ্যে তুমুল বিতর্ক।
রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সিসিটিভি কর্তৃপক্ষ জানায়, শিক্ষার মাধ্যমে শুধু 'নারী' বা 'পুরুষ' হিসেবে কাউকে গড়ে তোলা মূল উদ্দেশ্য হতে পারে না। বরং দায়িত্বশীল আচরণ গড়ে তোলার দিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিৎ।
সাম্প্রতিক কালে সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে চীন। তবে এজন্য এক সন্তান নীতির আওতায় জন্ম নেওয়া ছেলে শিশুদের আহ্লাদে বখে যাওয়া ও দুর্বল মনোভাবের বলে মনে করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এরফলে পুরুষত্ব নিয়ে এক কট্টর ধারণার উদয় হয়।
অনেক অভিভাবক এই ধারণার বশবর্তী হয়ে সামরিক প্রশিক্ষণের আদলে গড়ে ওঠা শরীরচর্চা কেন্দ্রে ছেলে শিশুদের পাঠাচ্ছেন। এতে সন্তানেরা 'প্রকৃত পুরুষ' হতে পারবে বলেই বিশ্বাস তাদের।
গেল বছরের মে'তে চীনের পিপলস কনসালটেটিভ কনফারেন্সের স্ট্যান্ডিং কমিটির শীর্ষ প্রতিনিধি শি জেফু 'পুরুষ সন্তানদের মেয়েলিভাব মোকাবিলা' শীর্ষক প্রস্তাবনা দেন। তার উপর ভিত্তি করেই সাম্প্রতিক পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমটি ছেলে শিশুদের মেয়েলি স্বভাবের জন্যে ভিডিও গেম, নীলছবি এবং কঠোর শারীরিক প্রশিক্ষণের অভাবকে প্রধান কারণ হিসেবে তুলে ধরে।
সূত্র: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।