লিবিয়ায় নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানাল জাতিসংঘ
লিবিয়ান পলিটিক্যাল ডায়ালগ ফোরাম (এলপিডিএফ) দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছে। নবগঠিত অন্তবর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ। মোহাম্মদ আল মেনফি এই সরকারের প্রেসিডেন্সি কাউন্সিলের প্রধান হয়েছেন এবং আবদুল হামিদ দবিবেহ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
লিবিয়ায় নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে সমঝোতা হওয়ায় স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, শান্তি খোঁজার পথে আজ আমরা খুব ভালো খবর পেয়েছি। এলপিডিএফ সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত অন্তর্বর্তী নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। গুতেরেস বলেন, কারো জন্যই এই সমঝোতার বিষয়টি মেনে না নেওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ এটি লিবিয়াসহ দেশটির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত অন্য সকল দেশের সমন্বয়ে করা হয়েছে। এটি একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া। এতে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, লিবিয়াকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে এই সমঝোতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় লিবিয়ার সংঘর্ষরত পক্ষগুলোর মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয় তাতে বলা হয়েছিল, লিবিয়ায় মোতায়েন সব বিদেশি সেনা ২৩ জানুয়ারির মধ্যে দেশটি ত্যাগ করবে। কিন্তু ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো দেশ তার সেনা প্রত্যাহার করেনি। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে মোতায়েন সরকার আন্তর্জাতিক সমর্থনপুষ্ট এবং তুরস্কও ত্রিপোলি সরকারকে সমর্থন করছে। অন্যদিকে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণকারী জেনারেল হাফতার বাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর।
স্যাটেলাইট থেকে ধারণ করা ছবি ও ভিডিও ক্লিপ প্রচার করে সিএনএন জানিয়েছে, লিবিয়ার সির্ত শহরের কাছে বহু কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় ‘রাশিয়ার সেনা’ মোতায়েন রয়েছে। দৃশ্যত লিবিয়ায় যেকোনো সমঝোতা থেকে নিজেদের স্বার্থ আদায় করে নেওয়ার জন্য রাশিয়া ও তুরস্ক তাদের সেনা মোতায়েন রাখতে চায়।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, লিবিয়ার প্রায় ২০ হাজার বিদেশি সেনা মোতায়েন রয়েছে।