যুক্তরাষ্ট্র যদি চুক্তি মেনে চলে, আমরাও মানবো : ইরান
যুক্তরাষ্ট্র যদি চুক্তি মেনে চলে, আমরাও মানবো মন্তব্য করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদেহ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রতারক রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নতুন প্রশাসন পরমাণু সমঝোতায় ফেরার জন্য ইরানকে কিছু শর্ত দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমেরিকা ইরানের দিক থেকে কিছু ছাড় আদায় করার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আব্বাস গোলরু। তিনি সম্প্রতি বার্তা সংস্থা ইরানপ্রেসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতার আলোচনায় জড়িত ছিল তাদের বাইডেন প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে বসাচ্ছে বলে যে খবর প্রচার করা হচ্ছে বিষয়টি তেমন নয়।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরমাণু সমঝোতা প্রসঙ্গে যে মন্তব্য করেছেন তা থেকে বোঝা যায়, বাইডেন প্রশাসন এ বিষয়টির সহজ সমাধান চায় না। তিনি আরও বলেন, ওবামা ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি যখন আলোচনার টেবিলে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষর করলেও পেছনে তার মার্কিন ব্যাংক ও কোম্পানিগুলোকে বলে দিয়েছিল যে, তারা যেন ইরানের সঙ্গে ব্যবসা বা ব্যাংকিং লেনদেন না করে। উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামলে ইরানের সঙ্গে আরও পাঁচ দেশকে সঙ্গে নিয়ে পরমাণু সমঝোতা সই করে আমেরিকা। কিন্তু পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে সে সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নেন।
এদিকে, মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ জানান, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা অন্য কোনো দেশের চাপের কাছে মাথা নতো করবে না ইরান। তবে সঙ্কট সমাধানে সবসময়ই আগ্রহী তেহরান।