ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১১ জানুয়ারী, ২০২১ ১০:০৫

ট্রাম্পকে অভিশংসনে ভোটের প্রস্তুতি

অনলাইন ডেস্ক
ট্রাম্পকে অভিশংসনে ভোটের প্রস্তুতি

গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা যেভাবে সহিংসতা চালিয়েছে এবং মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতীক বলে পরিচিত ক্যাপিটল হিলের ভেতরে তাণ্ডবে লিপ্ত হয়েছে, তাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসনের দাবি উঠেছে।

আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যেই এ নিয়ে ভোট হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভস-এর হুইপ জেমস ক্লাইবার্ন।

যদিও জানুয়ারির ২০ তারিখ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শেষ দিন। তার বিরুদ্ধে উন্মত্ত জনতাকে ‘অভ্যুত্থানে প্ররোচনা’ দেওয়ার অভিযোগ আনার পরিকল্পনা করছেন ডেমোক্র্যাটরা।

যদি অভিশংসন প্রক্রিয়া পরিকল্পনা মাফিক এগোয় তাহলে ট্রাম্প হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দুইবার অভিশংসন হওয়া একমাত্র প্রেসিডেন্ট।

সেজন্য অভিশংসন অভিযোগ হাউজে ভোটে পাস হতে হবে।

তারপর বিষয়টি সিনেটে যাবে যেখানে প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করতে দুই তৃতীয়াংশ ভোট দরকার হবে।

শুধু ডেমোক্র্যাট নয় এমনকি রিপাবলিকানদের অনেকেই তার বিরুদ্ধে সেদিন সমর্থকদের উস্কে দেওয়ার অভিযোগ করছেন।

রিপাবলিকান সেনেটর প্যাট টুমি ট্রাম্পের পদত্যাগ দাবি করেছেন।

তিনি বলেছেন, “আমার মনে হয় দেশের জন্য এখন সবচেয়ে ভাল হবে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প পদত্যাগ করে দ্রুত বিদায় নেন।”

“আমি জানি তা হয়ত হবে না। কিন্তু এটা হলেই ভাল হতো।”

এর আগে আলাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর লিসা মারকাউস্কি প্রথম ট্রাম্পের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন।

নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর বেন স্যাসেও ট্রাম্পের অভিশংসন নিয়ে কথা বলেছেন।

আরও এক রিপাবলিকান, ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক গভর্নর আর্নল্ড সোয়ার্জিনেগার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘সবচেয়ে জঘন্য প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তবে রিপাবলিকানদের কেউ তার বিরুদ্ধে ভোট দেবেন এমন ইঙ্গিত দেননি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি।

তবে রবিবার হোয়াইট হাউজ থেকে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার ট্রাম্প টেক্সাসে যাবেন মেক্সিকোর সাথে সীমান্তে যে দেয়াল তোলা হচ্ছে তার কাজ পরিদর্শন করতে।

তার প্রশাসন কি কাজ করেছে সেটি তুলে ধরতে চান তিনি।

হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে অভিশংসনের উদ্যোগকে রাজনৈতিক চাল বলে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এতে দেশের মধ্যে বিভাজন আরও বৃদ্ধি পাবে।

ওদিকে দাঙ্গার দিন কয়েকজন পুলিশের বিরুদ্ধে সাদা পোশাকে সেদিনকার র‍্যালিতে অংশ নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর তা তদন্ত শুরু হয়েছে। তাদেরকে আপাতত কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

উপরে