বেইজিংয়ের রোষানলে আলীবাবার শেয়ারে বড় দরপতন!
চীনের বিলিয়নিয়ার জ্যাক মা'র বেফাঁস মন্তব্যের জেরে সম্প্রতি নিয়ামক সংস্থার রোষানলে পড়েছে অ্যান্ট গ্রুপ। আর কর্তৃপক্ষের বিরূপ মনোভাব থেকে রক্ষা পায়নি জ্যাক মা'র অনলাইন পণ্য কেনাবেচার ব্যবসা আলীবাবা গ্রুপও।
চীনে অনলাইনে সবচেয়ে বড় আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান জ্যাক মা'র মালিকানাধীন অ্যান্ট আলীবাবারই অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
সোমবার আলীবাবার শেয়ারে বড় দরপতন হয়। হংকং পুঁজিবাজারে ৮ শতাংশ দর হারায় আলীবাবার শেয়ার, গত জুলাই মাসের পর যা সর্বনিম্ন অবস্থান। তার আগেই অ্যান্টের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সমালোচনা করেছে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংক অব চায়না (পিবিওসি) কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির বিরুদ্ধে নিয়ামক সংস্থার বিধিমালা পূরণে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ করা হয়।
সমালোচনামূলক মন্তব্যটি করেন পিবিওসি'র ডেপুটি গভর্ণর প্যান গংশেং। গত রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইট তা প্রকাশ করে। এসব কিছুর মধ্য দিয়ে চীনের অন্যতম সেরা ধনী ব্যবসা-বাণিজ্যে চলছে অব্যাহত চাপ প্রয়োগ।
কর্তৃপক্ষের চাপের মুখে কোম্পানির বাজার অবস্থান শক্তিশালী করতে উদ্যোগীও হয় আলীবাবা গ্রুপ। ঘোষণা দেয়, আগামী দুই বছর মেয়াদি শেয়ার পুনঃক্রয়ের পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে ৬-১০ বিলিয়ন ডলারের অংশীদারিত্ব কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেই চেষ্টা হোঁচট খেল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক নিন্দায়।
অক্টোবর থেকেই অব্যাহত চাপের মুখে আলীবাবা গ্রুপ। ওই সময় থেকে তাদের সামগ্রিক বাজার মূল্যায়ন ২৬ হাজার কোটি ডলার থেকে কমেছে ২৫ শতাংশ। তার আগে দেশটির আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকা এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন জ্যাক মা।
কোম্পানির দুরাবস্থায় এককালে চীনের সেরা ধনী মা'র ব্যক্তিগত সম্পদেও ভাটা দেখা দিয়েছে। ব্লুমবার্গ জানায়, ৬২ বিলিয়ন থেকে তার সম্পদ নেমে এসেছে ৪৯.৩ বিলিয়ন ডলারে। তাছাড়া, ৩৭ বিলিয়ন ডলারে অ্যান্ট গ্রুপের প্রাথমিক শেয়ার ছাড়াও উদ্যোগ স্থগিত রেখেছে বেইজিং। সিদ্ধান্তটি ছিল আকস্মিক এবং মা'র বেফাঁস কথার সঙ্গেসঙ্গেই নেওয়া হয়।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং সরকারি নানা সংস্থার তরফ থেকে এখন আলীবাবা ও অ্যান্টের বিরুদ্ধে একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণের রাশি রাশি অভিযোগ তোলা হচ্ছে।