ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ১১:৪৭

ট্রাম্প কি রাজনীতি থেকে বিদায় নেবেন?

অনলাইন ডেস্ক
ট্রাম্প কি রাজনীতি থেকে বিদায় নেবেন?

ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেনের চূড়ান্ত বিজয়ের পর অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে যে, ২০ জানুয়ারি ক্ষমতাসীন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউস ছাড়তে হচ্ছে।

কিন্তু তার সঙ্গেই কি মার্কিন রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ থেকে ট্রাম্পের প্রস্থান ঘটবে? এর উত্তর খোঁজা হয়েছে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে পিটার বেকার ও ম্যাগি হেবারম্যান লিখেছেন, হয়তো দেখা যেতে পারে যে ট্রাম্পের বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার ক্ষমতা- যা ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশি।

হয়তো তিনি মার্কিন রাজনীতিতে একটি জোরালো শক্তি হিসেবে রয়ে যেতে পারেন- যার মোকাবিলা করা কঠিন হতে পারে, বলছেন তারা।

এমন ধারণার কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায় সাত কোটির কাছাকাছি ভোটারের ভোট পেয়েছেন- যা ২০১৬ সালে তিনি যে ভোট পেয়েছিলেন তার চেয়ে অনেক বেশি।

পপুলার ভোটের প্রায় ৪৮ শতাংশ পেয়েছেন ট্রাম্প। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর অর্থ হলো চার বছর ধরে তাকে নিয়ে নানা রকম কেলেঙ্কারি, রাজনৈতিক বিপর্যয়, অভিশংসন, করোনাভাইরাস- এই সবকিছু সত্ত্বেও তার পক্ষে আছে মার্কিন জনগণের প্রায় অর্ধেকের সমর্থন।

নিকট অতীতে এক মেয়াদ পরই ভোটে হেরেছিলেন এমন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ডেমোক্র্যাট জিমি কার্টার এবং রিপাবলিক জর্জ এইচ বুশ সিনিয়র।

তাদের কারোরই ভোটের সংখ্যার বিচারে ট্রাম্পের মতো ক্ষমতার ভিত্তি ছিল না।

ট্রাম্প তার ঘনিষ্ঠ মহলে নিজের একটি টিভি নেটওয়ার্ক চালু করার কথা বলেছেন, যার লক্ষ্য হচ্ছে ফক্স নিউজের সঙ্গে পাল্লা দেয়া।

তা ছাড়া ২০২৪ সালে আবার প্রার্থী হওয়ার আভাসও দিয়েছেন ট্রাম্প- যদিও তখন তার বয়স হবে ৭৮।

আর নির্বাচনে তিনি যদি আবার প্রার্থী না-ও হন, তাহলেও টুইটারে তার ৮৮ মিলিয়ন ফলোয়াররা তো আছেন।

ফলে এমন হতে পারে যে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপন্থীদের মধ্যে তিনি হয়ে উঠতে পারেন এক অত্যন্ত প্রভাবশালী কণ্ঠ।

হয়তো এ কারণেই রিপাবলিকান মহলে পরবর্তী তারকা কে বা কারা হবেন- তা নির্ধারণে ট্রাম্পের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

হযতো এটা মাথায় রেখেই ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের পরপর সাবেক অ্যারিজোনা সিনেটর জেফ ফ্লেক বলেছিলেন, ‘নির্বাচনের ফল থেকে এটা পরিষ্কার যে ট্রাম্পের বিপুল জনসমর্থন আছে এবং তার এখনই মঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই।’

অবশ্য মার্কিন রাজনীতিতে ট্রাম্পের ভূমিকা বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও থাকবে- এমন ধারণার সঙ্গে সবাই একমত নন।

সাবেক কংগ্রেস সদস্য ফ্লোরিডার কার্লোস কারবেলো বলছেন, ‘আমরা আর কখনোই আরেকটি ডোনাল্ড ট্রাম্প দেখতে পাবো না। তার নকল কেউ বেরুলেও তারা ব্যর্থ হবে, এবং ট্রাম্প নিজেও ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবেন।’

তিনি বলেন, ‘তবে মার্কিন ইতিহাসে তার শাসনকাল যে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে তার ক্ষতচিহ্ন হয়তো কোনো দিনই মুছবে না।’

এটা সত্যি যে জেরাল্ড ফোর্ড, জিমি কার্টার বা জর্জ এইচ বুশ- এক মেয়াদ পরেই যাদের হোয়াইট হাউস ছাড়তে হয়েছে- তারা কেউ কেউ চেষ্টা করলেও, রাজনীতির মঞ্চে আর ফিরে আসতে পারেননি।

উপরে