সিঙ্গাপুরে অর্ধেক অভিবাসী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত
সংক্রমণের শুরুর পর গত নয় মাসে সিঙ্গাপুরের প্রায় অর্ধেক অভিবাসী শ্রমিক করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন।
স্থানীয় একটি অধিকার সংগঠনের প্রকাশিত তথ্যের বরাতে এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সিঙ্গাপুরে শ্রমিক অধিকার নিয়ে কাজ করা ট্রানজিয়েন্ট ওয়ার্কার্স কাউন্ট টু (টিডব্লিউসিটু) জানায়, দেশটিতে অন্তত এক লাখ ৫২ হাজার অভিবাসী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত। যা সেখানকার অভিবাসী শ্রমিকদের মোট ৪৭ শতাংশ।
অভিবাসী শ্রমিক ছাড়া দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজারের কম। তবে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু ২৯ জন।
সিঙ্গাপুরে গাদাগাদি করে একটি রুমে একসঙ্গে অনেক শ্রমিককে থাকতে হয়। দক্ষিণ এশিয়া থেকে যাওয়া এসব মানুষ সস্তা মজুরিতে সিঙ্গাপুরের নির্মাণ ও উৎপাদন খাতে কাজ করে থাকে।
শুরুর দিকে সাধারণ নাগরিক এবং এসব শ্রমিকদের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়লে আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেসময় দেশটিতে সংক্রমণের হার প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে আসলে সাধারণ জনগণের জন্য বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। তবে অভিবাসী শ্রমিকদের রেখে দেওয়া হয় কড়াকড়ির মধ্যে। স্বাধীনভাবে চলাফেরার কোনো অনুমতি নেই তাদের।
টিডব্লিউসিটু’র মুখপাত্র অ্যালেক্স আউ বলেন, ‘বন্দীদের মতো অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে এমন আচরণের কোনো যৌক্তিকতা নেই। তাদের অনেককেই আট মাস ধরে আটকে রাখা হয়েছে।’
এদিকে সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে সংক্রমণের হার আবার বেড়ে গেছে। মূলত করোনা পরীক্ষায় সমন্বয় আনায় শনাক্তের সংখ্যাটা বাড়তি দেখাচ্ছে।
দেশটিতে পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে মানুষের মাধ্যমে করোনা শনাক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি সেরোলজি পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হচ্ছে, আগে যাদের করোনা হয়েছিল।
পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে সাড়ে ৫৪ হাজার অভিবাসী শ্রমিকের মধ্যে করোনা ধরা পড়ে। সেরোলজি পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়, আরও ৯৮ হাজার অভিবাসী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।