বাড়িতে ডেকে ৯ জনকে হত্যা, কে এই 'টুইটার কিলার' তাকাহিরো?
সিরিয়াল কিলিংয়ের ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসে নতুন নয়। এমন উদাহরণ রয়েছে অনেক। আর মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) এমনই এক সিরিয়াল কিলারকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে জাপানে। তবে এই ক্ষেত্রে পন্থাটা অভিনব।
পরপর ৯ টা খুন করেছে জাপানের 'টুইটার কিলার' নামে পরিচিত তাকাহিরো শিরাইশি। এদিন তার সাজা ঘোষণার দিন আদালতে উপচে পড়েছিল ভিড়। আমজনতার জন্য যেখানে বরাদ্দ মাত্র ১৬টি আসন, সেখানে উপস্থিত ছিল ৪৩৫ জন।
জানা যায়, তাকাহিরো নাকি নিজেই স্বীকার করেছিল এইসব খুনের কথা। নিজের অ্যাপার্টমেন্টেই রেখেছিলেন সেসব মৃতদেহ। মানসিক বিকারগ্রস্ত ভয়ঙ্কর এই সিরিয়াল কিলারকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল টোকিওর এক আদালত। কে এই তাকাহিরো শিরাইশি?
২০১৭ সালে গ্রেফতার করা হয় এই ব্যক্তিকে। তারপর থেকেই চলছিল বিচারে প্রক্রিয়া। অবশেষে ২০২০ সালে সাজা দেওয়া হল তাকে।
তার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ৮ নারী ও ১ জন পুরুষের দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অবসাদে ভুগতে ভুগতে অনেকেই আত্মহত্যা প্রবণ হয়ে পড়েন। মৃত্যুকেই বেছে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সেরকম কাউকেই বেছে নিত তাকাহিরো। কেউ আত্মহত্যার ইচ্ছা প্রকাশ করলেই তারা হয়ে উঠতেন তার ‘টার্গেট’।
কেউ যখন সোশ্যল মিডিয়ায় আত্মহত্যার ইচ্ছা প্রকাশ করতেন, তাদেরকে বাড়িতে ডেকে আনত তাকাহিরো। তাই তাকে 'টুইটার কিলার'-এর তকমা দেওয়া হয়।
তাকাহিরো ওইসব লোকজনকে বলত যে, সে তাদের সাহায্য করতে পারে নিজের জীবন শেষ করার ক্ষেত্রে। কখনও এমনও বলত, সেও আত্মহত্যা করবে তাদেরই সঙ্গে। তার সেই ফাঁদে পা দিলেই সর্বনাশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকাহিরোর নাম 'হ্যাং ম্যান'।.
বাড়িতে ডেকে ওই ৮ কিশোরী ও তরুণিকে ধর্ষণ করে হত্যা করে এই তাকাহিরো। মৃতদের বয়স ১৫ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে। আর এক তরুণির বয়ফ্রেন্ডকেও চুপ করাতে হত্যা করে সে।
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে তাদের খুন করত তাকাহিরো। তাদের যুক্তি ছিল, নিহতরা সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তাই তাদের সাহায্য করত তাকাহিরো।