ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:০৫

ভারতীয় নৌবাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে ভয়ঙ্কর আরও ৩৮টি সুপারসনিক মিসাইল

অনলাইন ডেস্ক
ভারতীয় নৌবাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে ভয়ঙ্কর আরও ৩৮টি সুপারসনিক মিসাইল

সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে দুই প্রতিবেশী। হামলা হতে পারে সমুদ্রপথেও। তাই যুদ্ধ জাহাজগুলোকে আরও শক্তিশালি করতে পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। 

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রের খবর, ৩৮টি সুপারসনিক ব্রাহ্মস মিসাইল পেতে চলেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। যা বিশাখাপত্তনমে নির্মীয়মান যুদ্ধ জাহাজে মোতায়েন থাকবে। দ্রুত এই জাহাজগুলো ভারতীয় নৌবাহিনীতে নিযুক্ত করার চেষ্টা চলছে।   সরকারি সূত্রে খবর, এই ৩৮টি সুপারসনিক ক্রজ মিসাইল নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করতে ১ হাজার ৮০০ কোটি রুপির প্রয়োজন। সেই অর্থ চেয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাহিনী। প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় দ্রুত এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেবে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, এই সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলগুলো ৪৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে সক্ষম। ভারতীয় নৌবাহিনীর একাধিক যুদ্ধজাহাজে ইতোমধ্যে ব্রাহ্মস মিসাইল ইনস্টল করা হয়েছে। যুদ্ধাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলেন, শত্রুদের ওপর হামলা চালাতে ভারতীয় নৌবাহিনীর সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র ব্রাহ্মস মিসাইল। তাই আরও সুপারসনিক মিসাইল অন্তর্ভুক্ত করতে উদ্যোগী হল ভারতীয় নৌবাহিনী।

সম্প্রতি একাধিকবার এই সুপারসনিক মিসাইল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে ডিআরডিও। আর প্রতিবারই তারা সফল হয়েছে। গত ২৪ নভেম্বর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে অত্যাধুনিক ব্রাহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের পরীক্ষা চালায় ভারত। এটি লক্ষ্যভেদ করতে সফল হয়। এর আগে ওই ক্ষেপণাস্ত্রের একদফা পরীক্ষা হয়ে গিয়েছিল অক্টোবরে। তবে চূড়ান্তভাবে তা পরখ করে নিতেই ছিল এদিনের পরীক্ষা।

প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মস ঘণ্টায় ৩৭০০ কিলোমিটার বেগে ছুটে গিয়ে আঘাত হানে লক্ষ্যবস্তুতে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানা নিখুঁত। ২০০৬ সালে স্থলসেনা ও নৌসেনার অস্ত্র ভাণ্ডারে যুক্ত হয় এটি। প্রাথমিকভাবে এর মারণ ক্ষমতা ২৯০ কিলোমিটার থাকলেও এখন তা ৪৫০ কিমি দূরেও গিয়ে লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম বলে জানা গেছে। ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে ব্রাহ্মস তৈরি করে ফেলার পর গোটা বিশ্বের সমর বিশারদদের নজর কেড়ে নিয়েছে এই ক্রুজ মিসাইল। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

 

উপরে