ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:২৪

মাউন্ট এভারেস্টে আবহাওয়া কেন্দ্র স্থাপনের দুঃসাহসিক অভিযান

অনলাইন ডেস্ক
মাউন্ট এভারেস্টে আবহাওয়া কেন্দ্র স্থাপনের দুঃসাহসিক অভিযান

মাউন্ট এভারেস্ট, পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। কিন্তু কেমন হতে পারে সেখানকার প্রতিদিনকার আবহাওয়া?

এই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজেই গত বছর একদল দুঃসাহসী বিজ্ঞানী ও শেরপা সর্বোচ্চ এ চূড়ার বিপজ্জনক অঞ্চলে আবহাওয়া কেন্দ্র স্থাপনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। 

এভারেস্টের ৮ হাজার ৪৩০ মিটার উচ্চতায় তারা আবহাওয়া কেন্দ্র স্থাপনের কাজ করেন, যা এভারেস্ট সামিটের উচ্চতার চেয়ে মাত্র ৪০০ মিটার নিচেই অবস্থিত। তবে শেষ মুহূর্তে আবহাওয়া কেন্দ্র স্থাপনের কাজও প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।  এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার জন্য পর্বতারোহীদের দীর্ঘ সারির পেছনে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ও রোলেক্স এক্সপেডিশন দল ঠান্ডায় জমে যেতে থাকেন। যখন তারা আবহাওয়া কেন্দ্র স্থাপনের জন্য নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছান, ততোক্ষণে তাদের সকলেরই ঠান্ডায় জমে কাহিল অবস্থা। 

লওবোরো ইউনিভার্সিটির টম ম্যাথিউস এ অভিযানের ব্যাপারে বলেছিলেন, “প্রায় মাইনাস ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ফ্রস্টবাইট হওয়া থেকে রক্ষা পেতে আমরা বারবার সামনে পেছনে হাঁটছিলাম। আমাদের ব্যাটারিও ঠান্ডায় জমে কাজের জন্য অনুপযুক্ত হয়ে গিয়েছিল।”

তবে ভাগ্যক্রমে তাদের দলের এক সদস্য ফুটাসি শেরপার দেহ তাপমাত্রা তখনো কিছুটা বজায় থাকায় তিনি ব্যাটারিগুলোর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হন। তারপরই তারা আবহাওয়া কেন্দ্র বসানোর কাজ শেষ করেন। 

আবহাওয়া কেন্দ্র বসানোর ফলে পর্বতারোহীরা তাদের সামিটের সময় নিরাপদে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন। বিজ্ঞানীরাও সরাসরি এ অঞ্চলে জেট স্ট্রিম পর্যবেক্ষণ এবং কিভাবে হিমালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে তার ধারণা পাবেন। 

ইতোমধ্যেই বুলেটিন অব দ্য আমেরিকান মেটেওরোলজিক্যাল সোসাইটি জার্নালে প্রাথমিক কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ঠান্ডায় জমে যাওয়ার মতো আবহাওয়া থাকলেও বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়ার বরফ গলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে এমনটাই নির্দেশ করছে জার্নালে প্রকাশিত ফলাফল। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

উপরে