এমিরেটস এয়ারলাইন্সকে চার লাখ ডলার জরিমানা করেছে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে বড় বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইন্সকে চার লাখ ডলার জরিমানা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন বিভাগ। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে তেহরানের আকাশসীমা দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করায় এই জরিমানা করা হয়েছে।
তবে বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) মার্কিন কর্তৃপক্ষের ওই ঘোষণায় জানানো হয়েছে আগামী এক বছরের মধ্যে ওই আকাশসীমা পুনরায় লঙ্ঘন না করলে এমিরেটস’র অর্ধেক জরিমানা মওকুফ করে দেওয়া হবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে। গত বছর ওমান উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নজরদারি ড্রোন ভূপাতিত করে ইরান। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (এফএএ) ওমান উপসাগর, উপসাগর এবং ইরানের আকাশসীমায় বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করে যুক্তরাষ্ট্র। এফএএ জানায়, ইরানের সঙ্গে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট বেসামরিক বিমানকেও ভুলভাবে সামরিক বিমান হিসেবেও চিহ্নিত করার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
তারপরও ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ওই এলাকা দিয়ে ১৯ দিন ফ্লাইট পরিচালনা করে এমিরেটস এয়ারলাইন্স। জরিমানা করা মার্কিন পরিবহন দফতর জানিয়েছে, এসব ফ্লাইট নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক জেটব্লু এয়ারওয়েজ’র কোড বহন করছিলো। এই চিহ্ন থাকার অর্থ হলো জেটব্লু বিমান দিয়ে ফ্লাইট চালানো হলে আসন বিক্রি করতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি।
যুক্তরাষ্ট্রের জরিমানার আদেশে সম্মতি জানিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আকাশসীমার ওই লঙ্ঘন জরিমানাযোগ্য বলে তারা বিশ্বাস করে না তারপরও বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে জরিমানা পরিশোধে তারা সম্মত আছে।
এমিরেটস বলছে, ইরানের আকাশসীমা দিয়ে ফ্লাইট চালানো যুক্তরাষ্ট্র নিষিদ্ধ করলেও দিনে দুইবার তেহরানে যাওয়ার অনুমতি ছিলো। বিমান সংস্থাটি বলছে, ইরানের আকাশসীমা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া বা ফেরা পুনরায় শুরু হওয়ার পরও তারা ভুলক্রমে নিজেদের ফ্লাইটে জেটব্লু’র কোড রেখে দেয়। তবে পরে সেই ভুল সংশোধন করা হয়েছে জানিয়ে বিমান সংস্থাটি বলছে, ভবিষ্যতে একই ভুল এড়াতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনও আনা হয়েছে।
মার্কিন পরিবহন বিভাগ বলছে এমিরেটস’র আকাশসীমা বিষয়ক আদেশের লঙ্ঘনকে মারাত্মকভাবেই দেখছে। আর এই জরিমানা ‘ভবিষ্যতে এমিরেটসসহ অন্যান্য পরিবহকদের একই ধরণের বেআইনি চর্চা থেকে কঠোরভাবে নিবৃত্ত রাখাকে প্রতিষ্ঠা করবে,’ বলে মনে করে মার্কিন কর্তৃপক্ষটি।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত একটি কর্পোরেশনের মালিকানাধানী প্রতিষ্ঠান এমিরেটস এয়ারলাইন্স। দেশটির দুবাই শহর থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে বিমান সংস্থাটি।