ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৫:৩৫

ইসলামভীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে ভারত: ইমরান

অনলাইন ডেস্ক
ইসলামভীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে ভারত: ইমরান

ইসলামভীতি ছড়ানোর পেছনে ভারতকে দায়ী করে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার দাবি, হিন্দু রাষ্ট্রটি ইসলামভীতি ছড়ানোয় পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

শুক্রবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের অ্যাসেম্বলিতে দেওয়া ভাষণে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের ভারতে ইসলামভীতি বিরাজ করছে। ফলে দেশটিতে বসবাসরত প্রায় ২০ কোটি মুসলিম হুমকিতে পড়েছে।

ইমরান খান বলেন, “একটি দেশ আছে, দুঃখিত আমাকে তাদের ব্যাপারে বলতে হচ্ছে। দেশটি ইসলামভীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে, আর সেই দেশ হলো ভারত। আর এর পেছনের কারণ হলো- আরএসএস’র আদর্শ। আর এই আদর্শই আজ ভারতকে শাসন করছে।”

“তারা বিশ্বাস করে, ভারত হিন্দুদের জন্য বিশেষ একটি দেশ এবং সেখানে অন্যান্য জনসাধারণকে সমান চোখে দেখা হয় না।”

গত বছরের আগস্টে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কেড়ে নেওয়ার পর থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনামুখর ইমরান খান। জাতিসংঘের ভাষণেও তাই প্রকাশ পেল।

কাশ্মীর ইস্যুতে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক ন্যায্যতার ভিত্তিতে জম্মু-কাশ্মীরের সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই শান্তি এবং স্থিতিশীলতা ফিরবে না।”

কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়ার পর থেকে সেখানে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর তৎপরতা ব্যাপক বেড়েছে। হাজার তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যখন-তখন কাশ্মীর বাসিন্দাদের বাড়ি ঘেরাও করা হচ্ছে। ইলেকট্রিক শক দেওয়াসহ কাশ্মীরবাসীদের ওপর ভারতীয়বাহিনী অবর্ণনীয় নির্যাতন চালাচ্ছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর।

গত এক বছরে কাশ্মীরে ‘প্যালেট-গান’ অ্যাটাকে আগত হয়েছে হাজার হাজার কাশ্মীরবাসী। ছড়রা বুলেটে চোখ হারিয়েছেন অনেকে। কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়ার পর চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সাত মাস পার্বত্য অঞ্চলটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। সেখানে সকল ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়।

এসবের বর্ণনা দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে জম্মু-কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে আহ্বান জানান পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী- “এসব গুরুতর লঙ্ঘন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবশ্যই তদন্ত করা উচিত। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ ও মানবতার বিরুদ্ধে মারাত্মক অপরাধে জড়িত ভারতীয় কর্মকর্তা ও সামরিক কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।”

উপরে