ইমরান খানকে উৎখাতে পাকিস্তানে বিরোধী দলগুলোর 'ঐক্যজোট'
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগ ও তাঁর সরকারকে উৎখাতের দাবিতে দেশটির অধিকাংশ বিরোধী দলের সমন্বয়ে একটি জোট গঠন করা হয়েছে। রবিবার আলোচনার মাধ্যমে এই জোটের রূপরেখা চূড়ান্ত হয়ছে। সম্মিলিত বিরোধী এই জোটের নাম দেওয়া হয়েছে 'পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট'।
এই জোটে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) যেমন আছে, তেমনই রয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি। তবে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করায় রবিবার বৈঠকে ছিলেন না নওয়াজ শরিফ। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাষণ দিয়েছেন তিনি। মুসলিম লীগের পক্ষে বৈঠকে ছিলেন তাঁর মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ। এ ছাড়া হাজির ছিলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। জেইউআইএফের প্রতিনিধিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে আগামী অক্টোবর থেকে পর্যায়ক্রমিকভাব পাকিস্তানজুড়ে তেহরিক-ই-ইনসাফ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড় তুলবে বিরোধী দলগুলো। ডিসেম্বরে হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের আন্দোলন। দাবি আদায়ে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে গোটা দেশ থেকে ইসলামাবাদমুখী বিশাল পদযাত্রার আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিরোধী দলগুলোর দাবি, ইমরান খান জালিয়াতি করে নির্বাচনে জিতেছিলেন এবং তাতে সহায়তা করেছিল পাক সেনাবাহিনী। তাই পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনার প্রভাব চলবে না। আনতে হবে নতুন দায়বদ্ধতা আইন। স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পাকিস্তানের নির্বাচনব্যবস্থাকেও সংস্কার করতে হবে।
ভিডিও বার্তায় নওয়াজ শরিফ বলেছেন, 'আমাদের সংগ্রাম ইমরান খানের বিরুদ্ধে নয়। আমাদের লড়াই তাদের বিরুদ্ধে, যারা যারা ইমরান খানকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন। যারা তাঁর মতো অদক্ষ ব্যক্তিকে ক্ষমতায় আনার জন্য নির্বাচনে (২০১৮ সালের) কারসাজি করেছিলেন এবং এভাবে দেশকে ধ্বংস করেছেন।'
নওয়াজ বলেন, 'গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার দেশ চালাবে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তারাই দেশের অর্থনীতি ঠিক করবে। বিদেশনীতিও তারা ঠিক করবে। প্রধানমন্ত্রীর পদে ইমরান অযোগ্য। তাঁকে সেনাবাহিনীই প্রধানমন্ত্রী করেছে এবং দেশ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। তাই আমরা আগে সেনাবাহিনীর কবল থেকে দেশকে উদ্ধার করতে চাই।'
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।