নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেলেন নেতানিয়াহু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পর এবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চুক্তি করায় তাকে এই মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার ইতালীয় সংসদ সদস্য পাওলো গ্রিমোলদি এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য নেতানিয়াহুর নাম প্রস্তাব করেন।
জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, ইতালির অ্যান্টি-মাইগ্রেন্ট লিগ পার্টির সদস্য গ্রিমোলদি ইসরায়েলিদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে পরিচিত। তিনি বহুবার ইসরায়েল সফরে গিয়েছেন, যদিও নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার কখনও সাক্ষাৎ হয়নি। ইতালির এ সংসদ সদস্য এক টুইটে জানিয়েছেন, নোবেল কমিটি তার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বলে নিশ্চিত হয়েছেন তিনি। প্রস্তাবে গ্রিমোলদি দাবি করেছেন, আমিরাত-বাহরাইনের সঙ্গে ইসরায়েলের চুক্তি ছাড়াও সৌদি আরবের সঙ্গে বন্ধন সুদৃঢ় করেছেন নেতানিয়াহু। এজন্য শান্তিতে তার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত। পৃথক আরেকটি টুইটে পাওলো গ্রিমোলদি জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহু যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
এর আগে, গত সপ্তাহে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের শান্তিচুক্তিতে মধ্যস্থতা করে তিনি এই পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন। নরওয়ের রাজনীতিবিদ টিব্রিং-জেড্ডে পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। প্রতিবছর বিভিন্ন দেশের আইনপ্রণেতা, সরকারের সদস্য ও শিক্ষাবিদরা নোবেল পুরস্কারের জন্য শত শত ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করেন। সাধারণত অক্টোবরে পুরস্কার বিজয়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।